কাঁচামরিচ যে সব রোগের উপশম করে

Green-Cili12.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

আমরা প্রতিদিনই কাঁচামরিচ খেয়ে থাকি। চিকিৎসকদের মতে, কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয়; কাঁচামরিচের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও। তবে অতিরিক্ত ঝাল খাদ্যনালির ক্ষতি করে। পরিমাণমতো কাঁচামরিচের অনেক ভালো দিক রয়েছে। আবার চিকিৎসকদের মতে, কাঁচামরিচ পাকস্থলীর ক্যানসারসহ অনেক অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। কাঁচামরিচের নানা রকম ব্যবহার রয়েছে।

আসুন জেনে নিই কাঁচামরিচের সব ঔষধিগুণ।
কাঁচামরিচ ভিটামিন সির অত্যন্ত ভালো একটি উৎস। আরও রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, লোহা, কপার, পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া কাঁচামরিচে রয়েছে পানি ও ক্যারোটিন-বি, ক্যারোটিন-এ, লিউটেইন-জিজান্থিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট।

পাকস্থলীর ক্যানসার রোগ নিরাময় করে :
কাঁচামরিচ পাকস্থলীর ক্যানসার ও পাকস্থলীর যে কোনো রোগ নিরাময় করে। এ ছাড়া লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় রাখতে মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে ও হজমে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে :
মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পাশাপাশি কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে রক্তপাতও বন্ধ করে।

হজমের জন্য খুবই উপকারী :
ডায়েটারি ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে কাঁচামরিচ হজমের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কাঁচামরিচ। হঠাৎ ঠাণ্ডা সমস্যা ও সাইনাসের সমস্যা থেকে বাঁচায় কাঁচামরিচের থাকা ক্যারাসাসিন।

ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে :
কাঁচামরিচের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা শরীরে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ফুসফুস শক্তিশালী করে:
প্রতিদিন কাঁচামরিচ খেয়ে ঠাণ্ডা, কাশি- এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া কাঁচামরিচ টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে।

তারুণ্য ধরে রাখে:
যারা নিয়মিত কাঁচামরিচ খান তাদের ত্বক থাকে বলিরেখামুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে জাদুকরি একটি উপাদান। এছাড়া মন ভালো রাখে ও মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচামরিচ দারুণ ভালো।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে:
কাঁচামরিচ শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়। ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস বলে এটি বৌল সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।

ওজন হ্রাস করে:
কাঁচামরিচ বাড়তি মেদ ঝরায়। বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top