অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচন প্রস্তুতির চিঠি ও নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য মতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাংকের ঋণখেলাপিরা অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল ১৩ আগস্ট সচিবালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘ইউ পেনশন অ্যাপ’ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সব ধরনের সহযোগিতা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য যা যা লাগে, আমরা সব সাপোর্ট দেব।’
ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে ভালো একটা নির্বাচন দেয়ার চেষ্টা আমরা করব। ঋণখেলাপিরা তো থিওরেটিক্যালি এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন ঋণখেলাপির বিষয়টি দেখবে।’
নির্বাচনে কালো টাকা রোধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে বিষয়টি আসেনি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন চিন্তা করবে। তবে কালো টাকার ক্ষেত্রে দুটি বিষয়, একটি হচ্ছে উৎস, আরেকটি প্রক্রিয়া। উৎসটা আগের চেয়ে মোটামুটি বন্ধ হয়েছে। আগে তো ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, সংবাদপত্রের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক সব একজনই ছিল। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। এখন মোটামুটি চেক অ্যান্ড ব্যালান্স (ভারসাম্য) হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি উৎসাহ দেন যে টাকা-পয়সা দিয়ে মনোনয়ন দেবেন, ভোট দেবেন, তাহলে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে থেকে তো কিছুই করতে পারব না।’
গত মঙ্গলবার এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক বক্তব্য তারা রাখুক। আমি বামপন্থী রাজনীতি করেছি। তখন কত বক্তব্য দিয়েছি! হল বন্ধ করে দাও, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দাও ইত্যাদি। বন্ধ হয়েছে নাকি?’
এ সময় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধন করা হবে বলেও জানান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এ স্কিমে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’