বিশেষ প্রতিনিধি ।।
মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের মনোনয়নে নোয়াখালী ৫ আসনে বিএনপির ৯০ শতাংশ নেতাকর্মীর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে। ফলে নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপিতে স্বস্তি, উচ্ছ্বাস, আনন্দের বন্যা বয়ছে। মনোনয়ন পরবর্তী সময়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সবাইকে মিলেমিশে ধানের শীষের জন্য কাজ করার আহবান প্রার্থী জানিয়েছেন।
বিএনপির নমিনেশন এর প্রশ্নে তৃণমূল অনেক নেতাকর্মীরা বলেন, ফখরুল ইসলামের বাহিরে অন্য কাউকে বিএনপি চিন্তা করলে বিএনপি নিশ্চিত নোয়াখালী ৫ আসন হারাতো। কারণ ফখরুল ইসলাম আওয়ামী শাসন আমলে বিশেষ করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ-এর মৃত্যুর পর এবং ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত বিএনপির দুঃসময়ে একক ও একমাত্র অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে আওয়ামী রোষানলে ছিলেন। তখন মামলা হামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন একমাত্র ফখরুল ইসলাম। আর কাউকে দলের দুঃসময়ে দেখা যায়নি।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট ও সদর আংশিক) আসনে বিএনপি এবং জনতার হৃদয় জুড়ে বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ছিলেন এবং আছেন। তিনি নোয়াখালী-৫ আসনের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার ভিআইপি আসন হিসেবেস খ্যাত নোয়াখালী-৫ আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত একমাত্র হেভিওয়েট প্রার্থী। এই আসনে এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে ফখরুল ইমলামে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তারা কেউই তার ধারে কাছেও নেই। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নোয়াখালী-৫ আসনের ভোটারদের সাথে ব্যক্তিগত দলীয় সম্পৃক্ততা ফখরুল ইসলামকে স্থানীয় জনগণের কাছে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
নোয়াখালী মেইল প্রতিনিধি নোয়াখালী ৫ আসনের একাধিক ভোটারের সাথে কথা বলে জেনেছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পর এ আসনে বিএনপির নেতা, কর্মী এমনকি সমর্থকদের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন একমাত্র ফখরুল ইসলাম। সাধারণ ভোটারেরা আরও বলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা, হামলা ও বিপদ-আপদে সবসময় পরামর্শ দিয়ে, অর্থ শ্রম দিয়ে দিয়ে পাশে ছিলেন ফখরুল ইসলাম।
বিএনপি’র এক কর্মী বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর মৃত্যুর পর এ আসনটিতে আমাদের দলের নিবেদিত নেতা ফখরুল ইসলাম কর্মগুণে নেতা থেকে আমাদের অভিভাবক হয়ে ওঠেন। সংশয়ে-সংকটে, মিছিলে-মিটিংয়ে, অকুতভয় চিত্তে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কিংবা নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে আদালত প্রাঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকায় অনন্য ছিলেন ফখরুল ইসলাম। বিএনপির অনেকেই বলেন, দলের দুর্দিনে সরব ছিলেন ফখরুল ইসলাম তাইতো তার উপর আস্থা রাখা যায়।
এলাকাবাসী মনে করেন, বিএনপি’র পরীক্ষিত নেতা ফখরুল ইসলাম দীর্ঘ দিন যে অসামান্য অবদান রেখেছেন দলের প্রয়োজনের সময়ে তিনি তার সততা, শিক্ষা, বিচক্ষণতা এবং উদারতা প্রভৃতি বিবেচনা করে প্রয়াত নেতা সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এর আসনটিতে ফখরুল ইসলাম সর্বাপেক্ষা যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিএনপি ফখরুল ইসলাম এর দলপ্যীতি প্রদত্ত শ্রম, মেধা ত্যাগকে মূল্যায়ন করেছে। এছাড়া মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম-ই নোয়াখালী-৫ আসনে একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন যার দলের বাহিরে নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে, যাহা অন্যদের কারো ছিলো না।
এছাড়াও ৫ আগস্টোর পর দলের নিহ্নিত কিছু চাঁদাবাজ দখলবাজ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন এমনকি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ করেছেন। এসব কারণে আম জনতার কাছে ফখরুল ইসলামে জনপ্রিতা তুঙ্গে ছিলো। আওয়ামী শাসন আমলে যাদেরকে উনি দুঃসময় সহযোগিতা করেছেন মামলা হামলায় পাশে ছিলেন সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলছে। বিতর্কিত হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া দলের তৃণমূল ফখরুল ইসলামের সাথেই ছিলেন, আছেন।
