কবিরহাট প্রতিনিধি ।।
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট বাজারে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন সাংবাদিকসহ তিনজন ছাত্রদল কর্মী আহত হন। ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আহত তিন ছাত্রদল কর্মী বর্তমানে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। শিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিকান, সহ-সভাপতি ইয়াছিন রাব্বি ও পৌরসভা ছাত্রদল কর্মী নবেল মাহমুদ। এ ঘটনায় শিবির ও ছাত্রদল পরস্পরকে দোষারোপ করছে, তবে বাজারের ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই দলের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের দায়ী করেছে। সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম নিশাতের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন জামায়াত কোম্পানীগঞ্জ থেকে দলীয় সন্ত্রাসীদের এনে ছাত্রদলের কর্মীদের উপর আক্রমন করেছে। অন্য আরেক জন এই সংঘর্ষের জন্য ছাত্রদল ও বিএনপিকে দায়ী করেছেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাজারে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম নিশাত। কবিরহাট মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে প্রায় ২০-২৫ জন ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল কর্মী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে জামাত শিবিরের দাবি।
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি নিউজ সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলাম। মিছিল দেখে রাস্তার পাশে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মিছিল থেকে কেউ বলে উঠল ‘ওই সাংবাদিক ভিডিও করছে, ওরে মার।’ সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে স্টিলের রড দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ইয়াছিন ফরহাদ আমাকে জড়িয়ে ধরে, ভুট্টু নামের এক যুবকসহ আমাকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভেতরে নিয়ে যায়। এতে আমার প্রাণ রক্ষা হয়। পরবর্তীতে মাথায় তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তিনি কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ চারজন আহত হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূদম পুষ্প চাকমা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। গভীর রাত পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। পরিস্থিতি কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ থাকলেও বর্তমানে তা শান্ত রয়েছে।
