বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক ডা. রুহুল আবিদ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত

119368170_1290756511258973_9199062670049493836_n.jpg

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক ডা. রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (এইচএইএফএ) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।

ডা. রুহুল আবিদ যু’ক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভা’র্সিটি আলপার্ট মেডিকেল স্কুলে অধ্যাপনা করছেন। ম্যাসাচুসেটস ইউনিভা’র্সিটির নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক জিন-ফিলিপ বিলিউ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য যে ২১১ জনকে মনোনীত করা হয়েছে তার মধ্যে আবিদ অন্যতম। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) থেকে এমবিবিএস শেষ করেন। পরে জা’পানের নাগোয়া ইউনিভা’র্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। এছাড়া ২০১১ সালে হার্ভা’র্ড মেডিকেল স্কুল থেকে ফেলোশিপ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ব্রাউন গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভের একজন নির্বাহী ফ্যাকাল্টি সদস্যও।

ডা. আবিদের প্রতিষ্ঠিত এইচএইএফএ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। বিগত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০ হাজার গার্মেন্ট কর্মী ছাড়াও ৯ হাজার আরএমজি কর্মী ও সুবিধাবঞ্চিত নারী এবং দেড় লাখ রোহিঙ্গা ও আ’ট’কে পড়া জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা’সেবা দিয়েছে।

এখন তারা কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতে করো’নাভাই’রাস না ছড়ায় সে বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। ২০১৩ সালে রানা প্লাজায় ধসের পর দেশব্যাপী এ খাতের কর্মীদের চিকিৎসা’সেবা দেওয়া শুরু করে এইচএইএফএ। এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও শ্রীপুরেও গার্মেন্ট কর্মীদের চিকিৎসা দিচ্ছে আবিদের সংগঠনটি।

এইচএইএফএ মূলত উচ্চ র’ক্তচাপ, ডায়াবেটিস, র’ক্তস্বল্পতা, যক্ষ্মা ও প্রসবজনিক ঝুঁ’কি নিরসনে কাজ করে আসছে। ২০১৬ সালে এইচএইএফএ’র ডিজিটাল উদ্ভাবন ছিল ‘নিরোগ’ ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ব্যবস্থা দিয়ে সেবা দিচ্ছে তারা। এর মাধ্যমে সংগৃহীত রোগীর তথ্য স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিময় করায় তাদের সঠিক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

আর সর্বশেষ ছয় মাসে মহামা’রি মোকাবিলায় কাজ করছে এইচএইএফএ। এছাড়া ব্রাউন ইউনিভা’র্সিটিতে ডা. আবিদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই ও ১০ হাজার কেএন-৯৫ মাস্কের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন।

ডা. আবিদ এবং তার প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে কানাডায় ‘স্টার ইন গ্লোবাল হেলথ’ খেতাবে ভূষিত হন। তিনি এইচএইএফএ-তে কাজ করার জন্য কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা বা সম্মানী গ্রহণ করেন না বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top