নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ইংল্যান্ডেরও এক বছর আগে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশ হিসেবে রূপান্তরের কথা বলেছে বলে দাবি করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী গত শনিবার রাতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইউনিভা’র্সিটি অব লিবারেল আর্টস আয়োজিত ‘স্টার্টআপ অ’পরচুনিটিস ইন আইসিটি অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অ’তিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের কথা বলেছে। আর ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম এই বিপ্লবের কথা বলেছে ২০১৬ সালে। এমনকি ইংল্যান্ড আমাদের এক বছর পর বলেছে। ভা’রত ২০১৪ সালে, মালদ্বীপ ২০১৫ সালে এবং পা’কিস্তান ২০১৯ সালে তাদের দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি বলেন, শিল্প বিপ্লবে পিছিয়ে থাকা কৃষিভিত্তিক একটি দেশকে ডিজিটালে রূপান্তর করাটা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তারপরও শত বাধা অ’তিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রযু’ক্তিতে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় গত ১১ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, এমনকি সাবেক মা’র্কিন প্রেসিডেন্ট কেনিয়াবাসীকে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে অনুসরণের জন্য রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। বর্তমানে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবায় বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয়তম। জনগণের জন্য অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেবা ডিজিটাল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা অ’ত্যন্ত মেধাবী। করো’নার কারণে পৃথিবীতে যে পরিবর্তন এসেছে, তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর আগের জায়গায় ফিরে যাবে না। তাই ডিজিটাল প্রযু’ক্তির বিকাশের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে।
তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, তোমাদের মতো সেরা মেধাবী পৃথিবীতে খুব কমই আছে, তোম’রা পারবে না এমন কোনো কাজ নেই। স্টিভ জবস পারলে তোমাদেরও পারতে হবে।