শীতের এই সময়ে সুস্থ থাকতে ভূমিকা রাখতে পারে কিছু পানীয় ও খাবার

মেইল লাইফ স্টাইল ডেস্ক ।।

শীতে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পানি পানের প্রবণতা কমে যায়। ফলে শীতকালে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বরসহ ঠাণ্ডাজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের এই সময়ে সুস্থ থাকতে ভূমিকা রাখতে পারে কিছু পানীয় ও খাবার।

শীতের সময় অনেকে কম পানি পান করেন, যা ঠিক নয়। এ সময় বেশি করে পানি পান করা প্রয়োজন। নরমাল পানি সমস্যা মনে করলে একটু উষ্ণ পানি পান করুন। পানি আপনার শরীরকে সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং আপনার অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ডিহাইড্রেশনের কারণে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, যা হাইপোথার্মিয়া হতে পারে। সাতসকালে সাধারণত পিপাসা লাগে না। এ সময় মন না চাইলেও নিয়ম করে পানি পান করতে হবে।  শরীরকে উষ্ণ রাখতে এই শীতে ধোঁয়া ওঠা মসলা চা কিংবা কফির জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি রাখতে পারেন বিভিন্ন সবজি ও চিকেন দিয়ে তৈরি স্যুপ। দিনের সব ক্লান্তি মুছে ফেলতে দিনের শেষ ভাগে রাখতে পারেন এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ।

শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে মসলা একটি কার্যকর উপাদান। আদা, জিরা, গোলমরিচ ও দারচিনি ইত্যাদি আমাদের চা, স্যুপ বা যেকোনো তরকারিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। জিরা দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

খাবারের পর অল্প পরিমাণে গুড় খাওয়া যেতে পারে। এটি হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে এবং আপনাকে উষ্ণ রাখে।  আয়ুর্বেদ অনুসারে, দেশি ঘি হলো সবচেয়ে সহজে হজমযোগ্য চর্বিগুলোর মধ্যে একটি, যা রান্নার পাশাপাশি তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ঘি শীতকালে আপনাকে উষ্ণ রাখে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন বিটা-ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার (উজ্জ্বল রঙের সবজি, গাজর, পালংশাক), ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার (জাম্বুরা, কলিজা, টমেটো), ভিটামিন-ই জাতীয় খাবার (কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, বিচি জাতীয় খাবার, চিনাবাদাম, সবুজ শাক-সবজি), ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার (টকজাতীয় ফল, মরিচ, টমেটো, ব্রকোলি) ইত্যাদি। প্রতিদিন পান করুন লাল চা ও গ্রিন টি। এতে থাকা পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

যা বর্জন করতে হবে :
অতিরিক্ত লবণ, চিনিজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, ভুনা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ট্রান্সফ্যাট-জাতীয় খাবার, বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার, সিগারেট, আইসক্রিম, নানা প্রকার সফট ড্রিংকস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top