সরকারের অধীকরনকৃত জমিতে ব্যক্তির নামে কলেজ

jjjk.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর হাজারীতে বিএডিসির বীজ গুদাম এবং বীজ তলার জন্য সরকারীভাবে অধীকরনকৃত জমি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত পড়ে থাকায় জমির পূর্ব মালিকরা চাষাবাদ করে দখলে রেখেছিলো। এই নিয়ে জমির দাবিদার এবং সরকার দীর্ঘ দিনের মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে।

সরকারের অধীকরনকৃত ভূমিতে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে ২০১১ সালে তৎকালীন ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জবর দখল করে তার মরহুম পিতা মাতার নামে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম দিকে মানুষ মনে করেছিলেন কলেজ ওবায়দুল কাদের ও মিসেস কাদেরের নামে প্রতিষ্ঠিা করা হয়েছে। অবশ্য পরে নামের বিভ্রাট এলাকার মানুষ খোলাসা হন।
উল্লেখ্য কোন সরকারী জমিতে ব্যক্তির নামে কলেজ হবার নিয়ম নেই বা হতে পারে না।

এই নিয়ে তৎকালীন সময়ে কথা উঠলে ক্ষমতায় থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন বলেন আমি প্রস্তাবিত কলেজের পাশেই জমি কেনার চেষ্টা করছি। এক পর্যায়ে মহিলা কলেজের টিনসেট ভবনের পিছনে শাহাবুদ্দিন সাহেব ৬০ শতাংশ জমিও খরিদ করেন। কিন্তু পরে তিনি কলেজটি নিজস্ব জমিতে স্থানান্তর না করে বরং সরকারের অধীকরনকৃত জমি দখলে রাখতে সরকারীভাবে প্রাপ্ত বহুতল একাডমীক ভবন বিবিদমান জমিতেই নির্মাণ করেন।

লম্বা সময় আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার সুবাদে এসব বিষয়ে চলমান বিতর্ক অনেকটা চাপা পড়ে যায়। তবে সরকার বিরোধী রাজনীতির নীতিনির্ধারক অনেক নেতাই কথা প্রসঙ্গে বলেন সরকার পরিবর্তনের ২/১ মাসের মধ্যেই মহিলা কলেজটির নাম পরিবর্তন করে বেগম জিয়া মহিলা কলেজ করা হবে। সরকারী জায়গার প্রতিষ্ঠান যখন যে সরকার থাকবে তাদের মর্জিমতো নামেই চলবে।

এসময়ে শাহাবুদ্দিন সাহেব বিবাদমান মামলা চলমান জমিও অবৈধ দখলদার থেকেও রেজিস্ট্রি করে রাখেন। যার কতোটা বৈধতা আছে তা হয়ত আইন বলে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top