লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলারের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের চাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চর রমিজ ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র শতাধিক ব্যক্তির নামে প্রক্সি কার্ড তৈরী করে চাল না দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে খাদ্যবন্ধব কর্মসূচীর ডিলার মেসার্স শরীফ ট্রেডার্সের মালিক নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এতে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগীরা করোনাকালে সাহায্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাদের নামে হদরিদ্রর সহায়তা কার্ড আছে তাই অন্য সুবিধা পাবেনা বলে জানায়। এ সময় তারা জানতে পারেন তাদের নামে কার্ড আছে এবং বিগত ৪ বছর তাদের নামের চাল ডিলার আত্মসাত করেছেন। আবার যে পরিবারের ২টি কার্ড ছিল সে পরিবারের ১টি কার্ড তিনি রেখে দেন।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত কার্ড নাম্বারগুলো হলো : ২২৯, ২৩১, ৪৩৯, ৩২৫, ৩২২, ৩২০, ১৫৮, ৪২৬ , ২০৮ সহ আরো অনেক। নেছার উদ্দিন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার সমিতির সভাপতি হওয়ার সুবাধে: সে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ চাল আত্মসাত করছেন।
এছাড়া বাজার থেকে মিনিকেট চালের বস্তা কিনে সরকারী চালের বস্তা পাল্টে সেই চাল তার দোকানে বিক্রি করেন। তার ২টি গাড়ী এবং পর্যন্ত মজুদের যায়গা থাকায় সে অনায়াসে এ জাল জালিয়াতি করতে কোন বেগ পেতে হয়না বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগকারীগণ জুডিশিয়াল তদন্তের মাধ্যমে গরীবের চাল চুরির বিচারের দাবী করেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার জানান, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা আর আমার কাছে কেউ কোনদিন অভিযোগ করেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল মোমেন জানান, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত ডিলার নেছার উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল চুরির প্রশ্নই আসেনা। এখানে চেয়ারম্যান, মেম্বার, ট্যাগ অফিসারসহ অনেকে জড়িত। ইচ্ছা করলেই কেউ চুরি করতে পারেনা।
প্রক্সি কার্ড হোল্ডার ভুক্তভোগী মনাফ, বাকের, মমতা, নাজমা, জাহাঙ্গীর, শিপনসহ অনেকে জাল জালিয়াতি ও হতদরিদ্রদের চাল চুরির বিচার দাবী করেন।