লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:।।
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে যুবলীগ নেতা শাহ মো. রাকিবের বিরুদ্ধে ভুলুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে তাকে রামগতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাকিবের কাছ থেকে বালু ক্রয়কারী আবুল কাশেম ও মো.শাহিন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ জুলাই) উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের বয়ারচরের শেখ রাসেল ব্রিজ এলাকার অদূরে ভুলুয়া নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এসময় বালু উত্তোলনের পাইপ ভেঙে বিনষ্ট করা হয়।
ঘটনাস্থলে কেউ না থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমজাদ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত রাকিব রামগতি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে বেড়ি কেটে মাটির নিচ দিয়ে বালু নেওয়ার জন্য পাইপ বসানো দেখা গেছে। এর পাশেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভেঙে দেওয়া একটি পাইপও পড়ে ছিল। বাকি পাইপগুলো ভেঙে একটি পুকুরে পেলেছে বলে জানিয়েছে বালু ক্রয়কারী আবুল কাশেম। তিনি বয়ারচর এলাকার বাসিন্দা।
নাম প্রকাশ্যে অনি”ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, প্রায় ১৫ দিন ধরে ভুলুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বাল্কহেডে করে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা রাকিব লোকজন দিয়ে এ বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। ১৫ দিনে অন্তত ২০ লাখ টাকা বালু বাণিজ্য করেছেন তিনি। দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে তারা অবৈধভাবে এ কাজ করে আসছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল ও ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ তাকে এতে সহযোগীতা করছে। ভয়ে স্থানীয়রা কেউ কিছু বলে না।
বালু ক্রয়কারী আবুল কাশেম বলেন, আমি ১ লাখ ফুট বালু কেনার জন্য যুবলীগ নেতা রাকিবের সঙ্গে চুক্তি করি। তিনি আমাকে ইলিশাঘাট এলাকা থেকে বালু এনে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এরমধ্যেই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসে পাইপগুলো ভেঙ দিয়ে গেছে। বালু ক্রয়কারী মো. শাহিন বলেন, আমি বালু কিনেছি। বিস্তারিত রাকিবের কাছ থেকে জেনে নেবেন।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শাহ মো. রাকিবকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমার জানা নেই। রাকিবকে আমি সহযোগীতা করছি এমন অভিযোগ সত্য নয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমজাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল গিয়ে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপ ভেঙে বিনষ্ট করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদেরকে ডাকা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।