রায়পুরে সাবেক চেয়ারম্যানকে হত্যাচেষ্টা, ১৩৭ জনকে আসামি করে মামলা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ।।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক খালেদ হোসেন দেওয়ানসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ৯০ জনকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাতে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান পান্নু এ মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খলিফা, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক খালেদ হোসেন দেওয়ান, রুহুল আমিন খলিফা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলহাস খলিফাসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের অনুসারি হিসেবে পরিচিত। মামুনুর রশিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুলাই রাত ১১টার দিকে রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারের উত্তর চরবংশী খাসের হাটের কার্যালয়ে যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমানসহ কয়েকজন বসে ছিল। এসময় আলতাফ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ করে মামলার আসামিরা আলতাফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

এ ঘটনায় মোখলেছ পান্নুসহ ১১ জন আহত হয়। হামলাকারীরা আলতাফ হোসেনের ব্যবহৃত গাড়ির সামনের কাঁচ ও কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। এতে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর থেকেই আলতাফ হোসেনকে হত্যার হুমকি ও হামলা চালানোর অভিযোগ এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুনুর রশিদ ও আলতাফ হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে তাদের অনুসারীদের মধ্যে কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য নিয়েই দুই গ্রুপের মধ্যে ১০ জুলাই রাতে সংঘর্ষে হয়।

এদিকে একই ঘটনায় রবিবার (১২ জুলাই) চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের অনুসারি যুবলীগ নেতা রাশেদ খলিফা বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যাচেষ্টা মামলাটি তদন্তের জন্য হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top