পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মেম্বার লাঞ্ছিত

Kamal-Uddin.jpg

চরএলাহী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সদস্য কামাল উদ্দিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধ ।।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার এএসআই ইয়ামিনের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য কামাল উদ্দিন। সোমবার বেলা ৩টায় ওই ইউনিয়নের চরএলাহী স্টিল ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসী ও কয়েকজন ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, চরএলাহী বাজার রোডে এএসআই ইয়ামিন ও তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওই সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। এরই মধ্যে চরএলাহী স্টিল ব্রিজ এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের ছেলে ইকবাল হোসেনের মোটরসাইকেল আটক করেন এএসআই ইয়ামিন।

এ সময় মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক নেই বলে ইকবালের কাছে তিনি ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ইকবাল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন। কামাল মেম্বার তার পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেল আটকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তার ওপর চড়াও হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন।

এ সময় পাশে থাকা একই এলাকার যুবক ইয়ামিনের হাতে থাকা লাঠি ধরে ফেলেন। এ ঘটনার ভিডিও তাৎক্ষনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

লাঞ্ছিত ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহরম আলীর ছেলে। ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার পরিচয় দেয়ার পরও এএসআই ইয়ামিন আমার সঙ্গে জঘন্যতম আচরণ করেছেন। কোনো স্বাধীন দেশের পুলিশের আচরণ এমনটি হওয়ার নয়। তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি।

এএসআই ইয়ামিনকে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অপ্রস্তুত হয়ে বলেন, আমি এ মুহূর্তে চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। তিনি আমাকে ডেকেছেন। পরে আপনার সঙ্গে কথা বলবো- বলেই সংযোগ কেটে দেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, দায়িত্ব পালন অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে একটি মোটরসাইকেল যাওয়ার সময় সিগনাল দেয়ার পরও তা না থামায় মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। এসময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ভুল বুঝাবুঝি হয়। পরে চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক দুজনকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top