কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
গত ২৯ নভেম্বর জাসদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী ৫ আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক।
এসময় নোয়াখালী ৫ আসনের জাসদের দলীয় প্রার্থী প্রবীণ সাংবাদিক ও জাসদ নোয়াখালী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক সাথে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাসদের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বেলাল ও সেক্রেটারি জসীম উদ্দিন এবং কবিরহাট উপজেলা জাসদের সভাপতি মোশারেফ হায়দার জাহাঙ্গীর। আরো উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন ও জাতীয় পাক্ষিক নোয়াখালী মেইল এর ঢাকা মহানগর প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রানা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
জাসদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী ৫ আসনে মশাল মার্কার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ারর সময়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক বলেন, আমার প্রিয় নোয়াখালী ৫ তথা (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের সন্মানিত নাগরিকবৃন্দ । প্রিয় বাপ ভাই বন্ধুরা এবং আগামী প্রজন্মের সূর্য সন্তানেরা।
আমার সবসময় মনে হয় আমার প্রতি অর্পিত সামাজিক হক আমি কতোটা আদায় করছি। আমি মূলত একজন সংবাদকর্মী ও সামাজিক সংগঠক। আমি আমার জীবনের প্রতিটি বাঁকে নানাভাবে সামাজিক হক আদায় করতে চেষ্টা করি। শুধুমাত্র এই কারনে আমার সামর্থের বাহিরে গিয়েও আমি হত দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি।
আশির দশকের শুরুর দিকে রাজনীতিতে আমার প্রবেশ অনেকটাই না বুঝেই। ১৯৮১ সালে বসুরহাট হাই স্কুল মাঠে জাসদের এক জনসভায় নেতাদের বক্তব্য আমার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। সেই সূত্র ধরেই আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠেও সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রগতির চাকাকে সামনে ঘুরিয়ে দিতে ছাত্ররাজনীতি আমার প্রবেশ।
এলাকার নতুন প্রজম্মের সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে আমার বেশ পরিচিতি তখনই গড়ে উঠে। সেই সুবাদে আমি দলে প্রথমদিকে রাজনৈতিক নেতৃত্বে চলে আসি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমার রাজনৈতিক পথ চলা ৪২ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এই সময়ের বেশিরভাগ সময়ই আমি নেতৃত্বে ছিলাম।
“রাজনীতি কখনও আমার পেশা ছিলো না। রাজনীতি ছিলো আমার নেশা বা সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার। আমি রাজনীতিকে পুঁজি করে কখনো অর্থ বিত্ত বৈভবের অধিকারী হতে চাইনি।
একেবারে রুট লেভেল থেকে জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত আমার নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ হয়েছে। মফস্বল শহর ছেড়ে জেলা শহর, এরপর জেলা শহর ছেড়ে রাজধানী শহরে আমার রাজনৈতিক বিস্তার নিতান্তই ব্যক্তিগত যোগ্যতায়। আমি কখনও বাপ দাদা বা বড় ভাইয়ের নামে নেতা হই নি। আমি কখনো রাজনীতিকে ব্যবহার করে বা সিঁড়ি বানিয়ে কিছুই করিনি। তবে রাজনীতি আমাকে বিশাল পরিচিতি দিয়েছে। সম্মানিত করেছে। এটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।
রাজনীতি করে বাড়ি গাড়ি বানাবো এমন আশায় রাজনীতি করতে আসিনি। পারিবারিক শিক্ষার আলোকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন করতে লড়াইটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বন্ধুরা পথ হারিয়েছে, হতাশ হয়েছে। আমার রাজনৈতিক বিশ্বাসটা সম্বৃদ্ধ ছিলো বলে আমি এখনো বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি। সেই স্বপ্ন নিয়েই ছাত্র রাজনীতির পাঠ চুকিয়েও জাতীয় রাজনীতকে মানবকল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে বেচে নিয়েছি গত ৪ দশক।
আমি মনে করি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিত্ব ছাড়া প্রগতির চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তাই আমি আমার দায়িত্ব শেষ করতে চাই সমাজ ও রাজনীতিক সমাজব্যবস্থাকে জনসম্মুক্ষে নিয়ে এসে। জনসচেতনতা তৈরি করে।
আল্লাহপাক কখনো আমাকে সুযোগ দিলে আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ সততার সাথে পালনের চেষ্টা করবো। আমি আমার আল্লাহকে বলবো আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছে । যারা শুনেনি তারা তোমার আসামি।
আমার শুভান্যুধায়ী রাজনৈতিক সহযোদ্ধা অগ্রজ অনুজ সকলের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখুন।
আপনাদের স্নেহের/বন্ধু/অগ্রজ/অনুজ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে আমাকে বিবেচনায় রাখবেন। আমি আপনাদের বন্ধু হিসেবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের দুঃসময় দুর্দিনে পাশে থাকার সংকল্প ব্যক্ত করছি।
আপনারা আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে রাখবেন। আমি কখনো আমার জানামতে কারো ক্ষতি করি নাই, ক্ষতি করার পরিকল্পনাও নেই বরং আমাকে দিয়ে অনেকই সুবিধা নিয়েছেন। শুধু আল্লাহপাকের কাছে আমার নিবেদন যেন সকল প্রকার সুদ ঘুষ হারাম আমাকে স্পর্শ করেতে না পারে। হতদরিদ্রের হক যেন নাহক করতে না হয়।