নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক চাকরিচ্যুত, আরেকজন দুই বছরের জন্য বরখাস্ত

NBPB-W.jpg

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি ।।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক আচরণের অভিযোগে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আর ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে আরেক শিক্ষককে দুই বছরের জন্য চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৬৫তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গতকাল ২৬ মে রবিবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা চিঠিতে তাঁদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট বোর্ডের নেওয়া ওই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়। আজ সোমবার চিঠির বিষয়টি প্রকাশ পায়।

চাকরিচ্যুত শিক্ষক হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান (পূর্বে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। আর বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) তামজিদ হোসাইন চৌধুরী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের দাখিল করা প্রমাণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। অপর দিকে শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিঠি হাতে পাননি। তবে শুনেছেন। চিঠি হাতে পাওয়ার পর চিঠির ভাষার ধরন বুঝে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সহকারী অধ্যাপক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বিরুদ্ধে বিভাগের এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগে ‘বিয়ে করার কথা বলে অনৈতিক সম্পর্কের’ বিষয়টি তুলে ধরেন। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাওয়ায় ১৭ মে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।

অন্যদিকে সহযোগী অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। তাঁরা বিষয়টি প্রথমে উপাচার্য বরাবর এবং পরে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন। কমিটি তাঁদের সাক্ষ্য ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। সেই ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড তাঁকে দুই বছরের জন্য বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top