কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের পলিসির মেয়াদোত্তীর্ণ চেক বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে, ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিস। বসুরহাট পৌরসভার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদফখরুল ইসলাম।
ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানী দীর্ঘ সময় গ্রাহকদের স্বাভাবিক সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ বীমা পলিসির টাকা পরিশোধ করতে পারছিলো না। ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের থেকে ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানী উদ্ধার হলো আবারো দায়িত্ব পান ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীর উদোগক্তা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদফখরুল ইসলাম।
স্বাভাবিক সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ বীমা পলিসির টাকা গ্রাহকেরা তিন মাসের মধ্যে পেয়ে থাকেন। এ ধরনের টাকা পরিশোধ করতে হবে এখন পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও গড়িমসি করেছে অভিযোগ উঠেছে ফারইস্ট বীমা কোম্পানী বিরুদ্ধে। আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আবারো স্বাভাবিক হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ বীমা পলিসির টাকা পরিশোধের।
ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বলেন, এ অভিযোগের কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড ও দুঃশাসন ফলে।
ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,দেশের ফারইস্ট বিমা কোম্পানী প্রায় লক্ষাধিকরও বেশি বিমা গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে কারও কারও বীমা পলিসির মেয়াদ এরই মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু পলিসির টাকা পাওয়ার কোনো উদ্যোগ নিতে পারছেন না,ফারইস্ট বীমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিষদকে বিগত আওয়ামী সরকারের কর্মকাণ্ড ও দুঃশাসন বাধাগ্রস্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন কারণে, প্রভাবে সৃষ্ট অর্থসংকটে থাকা বিমা গ্রাহকদের সহযোগিতা করার স্বার্থে তাই মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসিগুলোর টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন,ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্সে কোম্পানী এখন থেকে গ্রাহকের আবেদনের জন্য অপেক্ষা করবে না। তথ্যভান্ডার ও অর্থভাণ্ডার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণের তালিকা নিয়ে বিমা গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে,এবং কোম্পানী অনলাইনে গ্রাহকের ব্যাংকে বীমা দাবির টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।
ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্সে কোম্পানীর চেয়ারম্যান আরও বলেছে, অনেকের বীমা পলিসির প্রিমিয়াম জমার সময় হয়েছে। কিন্তু চলাফেরায় বিধিনিষেধ থাকায় তা জমা দিতে পারছেন না তারা। ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্সে বীমা অফিস আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন কারণে বন্ধ থাকাও অবশ্য প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে না পারার অন্যতম কারণ।
এদিকে মোটর বীমার ক্ষেত্রে অনেক পলিসি মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নতুনভাবে পলিসি রিনিউ করতে পারছেন না অনেকে। মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির টাকা অতি অল্পসময়ে ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্সে কোম্পানীর পক্ষেই সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্সে কোম্পানীর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রাহকেরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।