নোয়াখালীতে জিয়ার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির নেতা মো. ফখরুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বিএনপি নেতা বাড়ির আঙ্গিনায় বিশাল আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে কোম্পানীগঞ্জ বিএনপি। দোয়া মাহফিল শেষে জোড়া গরুর মেজবানী দিয়ে এক হাজার ৫০০ নেতাকর্মীকে আপ্যায়ন করেছেন নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির নেতা মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
২৮ মে বুধবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নিজস্ব বাসভবনের পাশে আয়োজিত জিয়াউর রহমানের জন্য দোয়া ও আলোচনা সভা শেষে ওই ভুরিভোজের আয়োজন করেন তিনি। এতে আট ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা থেকে কমবেশি দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
দোয়ার অনু্ষ্ঠানে মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। সেই নেতার আদর্শের দল বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। সামনে নির্বাচন, আমাদেরকে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত।
ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু সুবিধাবাদি নেতারা জিয়াউর রহমানের সেই আদর্শের সংগঠনকে পূঁজি করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, বালু-মাটি বিক্রি, জমি দখলসহ কমিটি বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। যা কারো জন্যই শুভ নয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিগত ৫ আগস্টের পর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের কিছু নেতার জন্য দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তারা টাকার জন্য মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচার শুরু করেছে। অনেকেই নিজেকে ওবায়দুল কাদেরের ভাই পলাতক সন্ত্রাসী ‘কাদের মির্জা’ রূপে আভির্ভূত হয়েছেন। মনে রাখবেন, আপনাদেরকেও একদিন কৃতকর্মের জন্য ওবায়দুল কাদেরের মতো বাথরুমে লুকিয়ে থাকতে হবে।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমি আমার পাশে কোনো টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, বালু-মাটি খেকোকে দেখতে চাইনা। সংখ্যায় কম হলেও স্বচ্ছ নেতাকর্মী নিয়ে অতীতের মতো সামনের দিনগুলো পাড়ি দিতে চাই। কারণ যাদেরকে এলাকার সাধারণ জনগণ দেখতে পারে না। যাদেরকে দেখলে মানুষ ভয় পায়। আর যাই হোক তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করা যায় না।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আফতাব আহমেদ বাচ্চুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী শাহনাজ পারভীন, সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক, সদস্য একরামুল হক মিলন মেম্বার, পৌর মহিলা দলের নেত্রী নাহিয়া আফরোজ ববি, চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান টিপু, আজিজুল হক রাজু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমির প্রমুখ।