জেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল আলাবক্স তাহের টিটু

309402235_5552440891466061_6905248670591957513_n.jpg

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পিন্টু কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলো স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটু। অঘোষিত ভাবে সর্বদলীয়সহ স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির চলমান রিরোধের একটি অংশ একরাম অনুসারীদের সমর্থনকে কাজে লাগাচ্ছেন টিটু।

আগামী ১৭ অক্টোবর নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন। এই জেলায় ভোটযুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে লড়বেন আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিরোধী কবির হাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু। তার প্রতীক আনারস।

আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নোয়াখালীর নয়টি কেন্দ্রে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩০৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটর ৯৯৮ জন, আর নারী ভোটার রয়েছেন ৩০৮ জন। ভোটাররা স্ব- স্ব উপজেলায় ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এদিকে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সদস্য পদে এককভাবে চাটখিল থেকে মাসুদুর রহমান শিপন ও হাতিয়া থেকে মহি উদ্দিন মুহিন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

এখানে উল্লেখ্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৫ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন।

তবে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল আলাবক্স তাহের টিটুর। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিল করেও টিকেনি তার মনোনয়ন। অবশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) টিটুর মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করে।

অবশ্য পরে হাইকোর্টের আদেশ পুনরায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে সোমবার ওই আবেদনের শুনানি করেন বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত। এ দিন শুনানি শেষে টিটুর মনোনয়নের স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাহার করে মনোনয়নের বৈধতাদেশ বহাল রাখেন আদালত।

ফলে শুরু হয়েছে ভোট যুদ্ধ। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাকি আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রার্থী জয়ী পায়। আওয়ামী লীগ বেইমানি না করলে টিটু জামায়াত পাবে না মনে করেন ভোটার ও জেলার আমজনতা। তবে অনেকে মনে করছেন নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগে যেমন আবদুল মালেক উকিল আছে তেমনি খন্দকার মোস্তাকও আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top