ক‌রোনাকালে আমরা কতটুকু মান‌বিকতার প‌রিচয় দি‌চ্ছি?

106668106_295839938445420_6813544940662449024_o.jpg

গিয়াস উদ্দিন রুবেল

“কাউসার জাহান মণি” কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নে রামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। সম্প্রতি ফ্রন্টলাইন থেকে রোগীদের সেবা দিতে গিয়েই তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হওয়ার পর আশপাশের মানুষ আচরনে কষ্ট পেয়ে সামাজিক মাধ্যমে কিছু প্রশ্ন রেখেছেন…??

তার ফেসবুক স্ট‌্যাটাস “এক কলসি পানির দাম কত…..!!!

এই মুহুর্তে মেলা দামি জিনিস এই এক কলসি বিশুদ্ধ খাবার পানি। পানি শেষ হতে লাগলে টেনশানে মাথা খারাপ হয়ে যায় পানি এনে দেবে কে? আমার কাজের সাহায্যকারিনী প্রতিদিন পাশের বাড়ি থেকে পানি এনেদিতো এখন তাকে ফোনদিতে দিতেও ধরেনা। বহুবার ফোন দেওয়ার পর সে ফোনধরে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে আপা সন্ধ্যায় লুকায়া পানি এনে বাসার নিচে রেখে যাবো। আমাদের পানি এনে দেয় বলে তাকে নাকি বাড়ির লোক আর পাড়াপ্রতিবেশি হেনস্তা করছে আর মারধরের হুমকি ধামকি দিচ্ছে.. ওফ… কি ভয়ানক অবস্থা!

প্রিয় ভাইবোন, পাড়া প্রতিবেশি আমি কভিড-১৯ কে ভালোবেসে নিমন্ত্রণ জানিয়ে শরীরে নিয়ে আনিনি, আপনাদেরই কেউ অসুস্থ অবস্থায় সেবা নিতে এসে আমাকে দিয়ে গেসেন। অফিস টাইম শেষ হওয়ার পরও, পিপিই খুলে ফেলার পরও আবদার করে আপনারা পাড়া প্রতিবেশিরাই আসেন সেবা নিতে। হাজারবার বলার পরও মাস্ক না পরে কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দাঁত কেলাতে কেলাতে আল্লাহর দোহায় দিয়ে আপনারাই রোগে শোকে আসেন। কেউ বলতে পারবেন কোনদিন কাউকে ফিরিয়ে দিয়েছি? শোনেন এইদুনিয়ায় সবকিছু ফেরত আসে। আল্লাহর দয়ায় যদি সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসি আমি কিন্তু আবারও আপনাদের সেবা দেবো সেটা সময়ে অসময়ে যখনই হোকনা কেন। পরিশেষে এভাবে বলার জন্য কেউ যদি কষ্ট পান মাফ করে দিয়েন। কোনও অভিযোগও নেই শুধু এইটুকু বলি কষ্ট পেয়েছি ভীষণ।”

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রিয় সেচ্ছাসেবী সহযোদ্ধারা এবং সকল সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top