ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বিএনপি বন্যার্তদের নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত ঠিক তখন বিএনপি মহাসচিবের হীন রাজনৈতিক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৯) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বিএনপি নেতারা মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে রাজনীতি করছে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের আচরণ খুব অমানবিক, অতীতে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ জনগণ দেখেনি।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দুঃখ- দুর্দশা নিয়ে রাজনীতি করে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিলেটের বন্যা কোনো মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নয়, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে সফলতা অর্জন করেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের প্রতি কোনোরকম বিষোদগার বা দোষারোপ না করে এই দুর্যোগের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবে বলে আশা করি।’
এই দুর্যোগকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এমন মিথ্যাচার ও অপপ্রচার না করারও অনুরোধ করছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সৃষ্ট বন্যার কারণে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজেবি, কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় প্রশাসন মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি তার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য ৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।’
যেকোনো প্রয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সেনাবাহিনী টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বানভাসি মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ইমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে মনিটরিং টিম ও মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইনের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও বিতররণ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।’
তিনি জানান, বন্যার পানি সরে গেলেও এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং আরও জোরদার করা হবে। দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে দেশের সকল বিত্তবান মানুষকে দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।