সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
আজ ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনগুলো। ২০ মে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ মে থেকে চলছে দেশব্যাপী দলের বিভিন্ন ইউনিটের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং মেজবানী। বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনগুলো এসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
গত ২০ মে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হয়, জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে আজ ৩০ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা, মসজিদে মসজিদে গণদোয়া এবং দুস্থদের মধ্যে চাল, ডালসহ বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ২৯ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তাঁর ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়।