নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ এডিটরস ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ১টায় সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় বাংলাদেশ এডিটরস ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগামী ১ অক্টোবর সংগঠনের ৩য় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সূধী সমাবেশ ও জন্মদিনের কেক কাটার অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রন করেন।
মাননীয় তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ এডিটরস ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরে সাথে প্রায় ৩০ মিনিটি কথা বলেন। এডিটরস ফোরামের সম্মানিত সভাপতি দৈনিক আমাদের বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মিজানুর রহমান চৌধুরী এসময় দেশের ছোট পরিসরের পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদকদের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিদাবা তুলে ধরেন।
করেনা সৃষ্টাচার মেনে মন্ত্রী বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহাসচিব মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক এবং সাংগঠনিক সচিব ওমর ফারুক জালাল-এর হাত থেকে দাওয়াতপত্র গ্রহন করেন।
মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বাংলাদেশ এডিটরস ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃেন্দর বক্তব্য ধর্য ধরে শুনেন এবং বলেন, আমিতো আপনাদের সাথে আছি। আপনাদর পত্রিকাতো বাতিল হয়নি। আমাদের সহযোগিতা থাকবে সব সময়।
দেশের একমাত্র বুদ্ধিভিক্তিক সমাজ সাংবাদিক ও মিডিয়া জগত, যাকে রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সেই মিডিয়া জগতও আজ মাফিয়াদের দখলে। সাংবাদিকদের কথা বলার মাধ্যম সংবাদপত্র তথা প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, এমনকি ডিজিটাল অনলাইন মিডিয়াও আজ পুজিবাদীদের বিচরণে বিসাক্ত বাতাস বইছে। প্রকৃত সাংবাদিক এবং তাদের প্রকাশনা আজ মাফিয়াদের ছোবলে। আর অর্থ বিত্তের লোভে নামধারী সাংবাদিকরা তাদের গোলামী করছে। এমনকি তাদের নির্দেশে নামধারী এসব সাংবাদিকরা আজ নিজেদের সাংবাদিকতা শেখার পাঠশালা ছোট পত্রিকার বিরুদ্ধে কলম ধরছে।
আজ এসব নামধারী সাংবাদিকরা অর্তনৈতিক দৈন্যতায় ফরমাইশি সাংবাদিকতায় বাধ্য হচ্ছে। প্রকৃত সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক দৈন্যতায় মাফিয়ারা সংবাদপত্রের মালিক হয়ে প্রকৃত পেশাধারী সাংবাদিকদের খবরদারি করছে। পুজিবাদীরা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরো বড় করতে, অপকর্মকে বৈধতা দিতে সংবাদ মিডিয়াকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে। আর প্রকৃত সাংবাদিকদের সংবাদপত্রকে নাম সর্বস্ব বলে কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। মাত্র ১৫-২০ জন মাফিয়ার মিডিয়া ৫-৬ হাজার পত্রিকাকে ও লক্ষাধিক পেশাধারী সাংবাদিককে ধমিয়ে রাখতে চায়।
সংবাদ মাধ্যম তথা মিডিয়া জগতে প্রকৃত সাংবাদিকদের অবস্থান জানান দিতে এবং দেশের বুদ্ধিভিক্তিক সমাজের নিয়ন্ত্রন আবারও সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসার লক্ষে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ তথা বাংলাদেশ এডিটরস ফোরাম নামে প্রকৃত সাংবাদিকদের সংবাদপত্রের সম্পাদকদের ঐক্য করার কাজ শুরু করে।
আজ আমরা বড় পরিসরে অবস্থান করছি। গুটি কয়েকজন মাফিয়া মালিক সম্পাদকের কুক্ষিগত চক্রের বিপরীতে আমরা আমাদের অস্তিত্ব ও আমাদের সংবাদপত্রকে সামনে এগিয়ে নিতে এক মঞ্চে একত্রিত হয়েছি। প্রকৃত পেশাদারী সাংবাদিকদের মালিকানায় ও সম্পাদনায় প্রকাশিত সংবাদপত্র কে আজ যারা নাম সর্বস্ব পত্রিকা বলছে তারা সংখ্যালগু ও পুজিবাদী। আমাদের ঐক্য সংবাদপত্র ও পেশাদারী সাংবাদিকদের সাময়িক সংকটকে কাটিয়ে ওঠতে সাহস যোগাবে। ইনশাআল্লাহ আমাদের জয় সুনিশ্চিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আলোর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক রফিক উল্যাহ সিকদার, দৈনিক অন্যদিগন্তের সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, দৈনিক আজকের প্রভাতের সম্পাদক নেজামুল হক, দৈনিক আপন কাগজ সম্পাদক মকছুদের রহমান মানিক, দৈনিক দেশকাল সম্পাদক জাকির হোসেন তালুকদার, বিজনেস ডাইজেস্ট পত্রিকার সম্পাদক শহীদ উল্যাহ প্রিন্স, দৈনিব জাতীয় বাংলার সম্পাদক মুশফিকুর রহমান, দৈনিক মর্ণিং অবজারভার ও সোনালী বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, দৈনিক ইভিনিং নিউজ পত্রিকার সম্পাদক এ বি এম সেলিম আহমেদ, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সম্পাদক আশোক ধর, দৈনিক অন্যায়ের চিত্রের নির্বাহী সম্পাদক আবুল কাশেম সোহাগ, আমাদের চট্টগ্রামের আসাদুজ্জমান বাবুল প্রমুখ।