ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী।
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রথিতযশা সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ, কলামিষ্ট,রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বি এন পির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার কৃতিসন্তান, দাগনভুইয়ার বাসুদেবপুরের আলোকিত বাতিঘর ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী। সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
কোরেশীর মৃত্যুতে জাতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিজ্ঞ একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিকে হারালো। জনাব কোরেশীর শুন্যতা সহজে পুরন হওয়ার নয়।
২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এই রাজনীতিক। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ বোধ করলেও মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাসায়ই কেটেছে তার জীবন।
৬০-এর দশকের মেধাবী ছাত্রনেতা ড. কোরেশী তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৬১ সালে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ৬ দফা ও ১১ দফাভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে দেশবাংলা পত্রিকা বের করেন ড. কোরেশী। ওই সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় কিংস পার্টি খ্যাত রাজনৈতিক অঙনের আলোচিত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) দল গঠন করেন। আমৃত্যু তিনি ওই দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র “দৈনিক দেশ বাংলার ” সম্পাদক ও প্রকাশক।
আগামীকাল সকাল ৯ টায় ড, ফেরদৌস আহমদ কোরেশী’র মরদেহ তোপখানায় উনার দেশবাংলা পত্রিকা ও পার্টি অফিসে নেওয়া হবে। এবং সকাল ১০ টায় প্রেস ক্লাবে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখান থেকে উনার গ্রামের বাড়ি দাগুনভুইয়া নিয়ে যাওয়া হবে । বিকাল ৪টায় আতাতুর্ক স্কুল মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।