২৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে

101.jpg

চমক দেখালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি, ২৬৬ জনের সবাই জিপিএ-৫

নোয়াখালী মেইল ডেস্ক ।।

অতীতের ধারাবাহিকতায় শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়ে এবারও চমকে দিয়েছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস। এ বছর ২৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর সোমবার দুপুরে অনলাইনে এসএসসির ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম বাড়ৈ।

প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা ও মিসেস নাসিমা মোল্লা। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৫ সালে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছিল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিবছরই বোর্ডে স্থান দখল করে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৬৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে একজন পরিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা ও উচ্ছ্বাসিত অভিভাবকেরা।

এর আগে, ২০২১ সালে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৩৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০২০ সালে ২১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২০০ জন জিপিএ-৫ পায়। ২০১৯ সালে সালে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ১৬৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ১৩৭ জন জিপিএ-৫ এবং ২০১৭ সালের এসএসসিতে ১৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া আবদুল ফাততাহ জানায়, করোনাকালে ভ্রাম্যমাণ পাঠদান, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিক-নির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষার কারণেই এই ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বরাবরই ভালো ফলাফল করছে। এবার শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে। সারাদেশের সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আশা করছি, আমরা দেশসেরা অবস্থানে থাকবো। মূলত নরসিংদীর মতো মফস্বল শহরে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়েই আমি ও আমার সহধর্মীনী নাসিমা বেগম স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানবসম্পদে পরিণত হোক। যাতে আমাদের সমাজে সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই সাফল্য শুধু এই প্রতিষ্ঠানের একার না। এ সাফল্য পুরো নরসিংদীবাসীর। এরই লক্ষ্যে আমার পরিচালনাধীন মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন শুধু আমাদের পরিচালনাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, জেলার প্রায় ৩১৫টি স্কুল ও কলেজে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম বাড়ৈ বলেন, একটি বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফলের মূলমন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে সমন্বয়। আর আমাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে আবদুল কাদির মোল্লা। স্যারের ইনোভেটিভ চিন্তা-চেতনা, দিক-নির্দেশনায় আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে। স্যারই প্রথম করোনার সময়ে ভ্রাম্যমাণ পাঠদানের প্রবর্তন করেন।

উল্লেখ্য, নরসিংদীতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৮ সালে শহরের ভেলানগর এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা স্ত্রী মিসেস নাসিমা বেগমের নামে যৌথভাবে ‘নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ১২২ জন তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে স্কুলটি কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৮০৭ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top