হারুন ও পাপুলের আসন কেন শূন্য হবে না জানতে চেয়ে রুল

harun-papul.jpg

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুন ও লক্ষীপুরেের এমপি পাপুল (ফাইল ফটো)

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

শুল্কফাঁকির অভিযোগের মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুন অর রশীদ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে কারাবন্দি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের নির্বাচনী আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

দুইজনের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এ রুল জারি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

সংসদ সদস্য পাপুলের বিষয়ে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। আর সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের বিষয়ে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান এম এ ওবায়েদ হোসেন।

আইনজীবী আওসাফুর পরে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।

রিট আবেদনকারী গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে সেখানে জয়ী হয়ে আসেন আরেক স্বতন্ত্রী প্রার্থী কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল, যিনি মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাবন্দি আছেন।

আদালত ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে আইনজীবী দেওয়ান ওবায়েদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যের দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সাজা হয়েছে পাঁচ বছর। দণ্ডিত এমপি হারুনের জামিন আপিলেও বহাল ফলে তিনি আর সংসদ সদস্য পদে থাকতে পারেন না। রিটে সে বিষয়টিই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আদালত রিট আবেদনটি শুনে রুল জারি করেছেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও নির্বাচন কমিশনের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ি বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে গত বছর ২১ অক্টোবর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। রায়ে হারুনকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেয়া হয়।

রায়ের অনুলিপি সংসদ সচিবালয়ের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়। এ সংসদ সদস্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠান রিট আবেদনকারী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top