মিয়ানমার থেকে আসছে কোরবানির পশু

CoW.jpg

বিশেষ প্রতিনিধি

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে গবাদি পশু। তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে পশুর ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গত চারদিনে শাহপরীর দ্বীপ করিডরে মিয়ানমার থেকে ৩ হাজার ৩৭৩টি গরু-মহিষ এসেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন ট্রলার থেকে খালাসের পর এসব পশু করিডরে খোলা জায়গায় রাখা হচ্ছে।

টেকনাফ শুল্ক বিভাগের কাস্টমস সুপার মো. আবসার উদ্দিন বলেন, গত জুন মাসের ৫ হাজার ২১৩ গরু ও ৩ হাজার ৩১২টি মহিষসহ ৮ হাজার ৫২৫ গবাদি পশু এসেছে। এসবের বিপরীতে ৪২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আনার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

পশু ব্যবসায়ীরা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ করিডর দিয়ে কোরবানির ঈদের আগের দিন পর্যন্ত গবাদি পশু আনা হবে। শুধুমাত্র ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম লাখ লাখ টাকা দাদন দেওয়া হয়েছে। শাহপরীর দ্বীপ করিডরের পশু ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম জানান, এবার করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এবার কোরবানিতে ২০ হাজারের বেশি পশু আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি সাগরও শান্ত থাকতে হবে। কোনো ধরনের বাধা ছাড়া গবাদি পশু আসতে পারলে স্থানীয় লোকজন কম দামে গরু-মহিষ কিনতে পারবে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান জানান, মিয়ানমার থেকে আসা গবাদি পশুগুলো বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। প্রতিটি গরু-মহিষের বিপরীতে ৫০০ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়। তবে মাদকসহ অবৈধ কোনো কিছু আনা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বিজিবি সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top