উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন বগি সংযোজন করে উদ্বোধন

273969217_797658118293626_9159602039062354326_n.jpg

নগর প্রতিবেদক ।।

গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকায় উদ্বোধন করা হয় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন বগি সংযোজন। উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এইচএম ইব্রাহিম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ প্রমুখ।

এসময় অভিযোগ ওঠে ১৫ বছরের পুরোনো বগি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন হয়। জানা গেছে ২০০৭ সালে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে চীন থেকে আনা ১৪টি বগি যুক্ত করা হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত বগিগুলো ওই ট্রেনে ব্যবহৃত হয়। গত দুই বছর আর ব্যবহৃত হয়নি। ১৫ বছরের পুরোনো সেই বগিগুলোই এবার নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে। সেটি আবার ঢাকঢোল পিটিয়ে গতাল সোমবার উদ্বোধন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন প্রয়োজন থাকলেও রেলপথ মন্ত্রণালয় কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিশেষ করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলে একের পর এক নতুন ট্রেন যুক্ত হচ্ছে। অথচ পূর্বাঞ্চলে একটিও নতুন ট্রেন যুক্ত হয়নি। শুধু কিছুদিন পরপর বগি পরিবর্তন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয় ১৯৯৮ সালে। এটি ২০০৭ সাল পর্যন্ত ইরানি বগি দিয়ে চলাচল করে। সে বছরই সাদা চীনা বগি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই ১৪টি চীনা বগি সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। সেই বগিগুলোই এবার ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ও ঢাকা নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত করা হলো।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা সাহেব উদ্দিন মিডিয়াকে বলেন, ‘আজকে যুক্ত হওয়া সাদা চায়না বগিগুলো সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পাওয়া। এগুলো নতুনভাবে সংস্কারের মাধ্যমে উপযোগী করে বিজয়-উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত করা হয়েছে।’

অন্যদিকি গতকাল  সকাল ৯টায় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলো উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top