কক্সবাজার প্রতিনিধি
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস ধরে বন্ধ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্টানগুলো। কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকলেও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে লকডাউন শিথিল করে দিয়েছে গত ১ জুলাই থেকে। তবে লকডাউন শিথিল হলেও বন্ধ থাকছে পর্যটন জোন।
এদিকে সীমিত আকারে হলেও কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল খোলা রাখা ও সমুদ্র সৈকত উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জীবন ও জীবিকার তাগিদে বিষয়টি বিবেচনার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিশনের সভাপতি সুবীর চৌধুরী বাদল ও সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম। তারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত ২০ মার্চ থেকে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়। তিন মাস অতিবাহিত হলেও আমরা সরকারি ও বেসরকারি কোনো ধরণের সাহায্য পাইনি। পরিবার নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছি।
জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানান, পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র এবং পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনই খুলে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
হোটেল রিগ্যাল প্যালেসের জিএম হানিফ জানান, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কক্সবাজারের হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের এখন চরম দুর্দিন চলছে। ভাড়ায় নেওয়া প্রায় কয়েকশ হোটেল ব্যবসায়ী পথে বসার উপক্রম।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক জোনের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ আবুল কাশেম সিকদার জানান, ইতোমধ্যে পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ২০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে গেছে। পাশাপাশি ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনো রকমে বেতন দিয়ে রাখা হয়েছে।
আবাসিক হোটেলের এক কর্মচারী জানান, শুধু আমরা নই, কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। পরিবার নিয়ে কষ্টে রয়েছেন সবাই।
রেস্তোরাঁ মালিক রাফি জানান, সীমিত আকারে পরিবহন, দোকান-মার্কেট, ব্যাংক কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষের শরীরিক ও মানসিক শক্তি বিকাশে জন্য ভ্রমণের প্রয়োজন। সারা দেশে হোটেল ও রেস্তোরাঁ খুলে দিলেও কক্সবাজারের কলাতলী জোনে এখনও বন্ধ রয়েছে। আরও কিছুদিন বন্ধ রাখা হলে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা দুরূহ হয়ে পড়বে।