‘মাধ্যমিক পর্যায়ে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স নামে কোনো বিভাজন থাকবে না’

mohibul.jpg

স্টাফ রিপোর্টার

কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে। দেশের উদ্যোক্তারা অনেক ক্ষেত্রে বলে থাকেন তারা দক্ষ জনশক্তি পাচ্ছেন না। তাই বিদেশ থেকে দক্ষ লোকবল নিয়ে আসতে হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে উদ্যোগ নিয়ে চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে হবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপমন্ত্রী ৪ জুলাই বাংলাদেশ স্টিম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স) সোসাইটি আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আল-নকীব চৌধুরী সভাপতিত্বে এই সেমিনারে আরো সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, যুক্তরাষ্ট্রের মনমথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম এম মাতবর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অভ্ সায়েন্স, ব্যাঙ্গালোরের প্রতিনিধি ড. সঞ্জীব কে শ্রীভাস্টাভা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম-সহ বাংলাদেশের ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী বলেন, সকল শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স নামে কোনো বিভাজন থাকবে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অসংখ্য গ্রাজুয়েট তৈরি করছে যাদের কোনো কারিগরি দক্ষতা নেই। ফলে এদের অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় না এবং বিপুল সংখ্যক জনশক্তি শ্রমবাজারের বাহিরে থেকে যায়। এই অবস্থা চলমান থাকলে রূপকল্প-২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। এসব বিষয় বিবেচনায় গ্রাজুয়েটদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরি করা এবং কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top