বাজেট প্রস্তাবনায় মূল্যস্ফীতিতে ক্ষয়ক্ষমতা হারানো সাধারণ মানুষের জন্য কোনো স্বস্তির খবর নাই : জাসদ

jasod-2.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি ৯ জুন ২০২২ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাৎক্ষনিক পর্যবেক্ষন ও প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অর্থনীতি সচল ও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার গতানুগতিক বাজেট। জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন প্রেরিত এক বার্তায় এমনটিই বলেছেন সরকারের ক্ষমতার পার্টনার দেশের প্রথম এই রাজনৈতিক দলটি।

এই বাজেট প্রস্তাবনায় মূল্যস্ফীতিতে ক্ষয়ক্ষমতা হারানো সাধারণ মানুষের জন্য কোনো স্বস্তির খবর নাই। তারা বলেন, যেখানে অর্থমন্ত্রী নিজেই বেশ কয়েকটি গুরুতর বৈশ্বিক ও আভ্যন্তরীণ সংকট এবং তা থেকে অনিশ্চয়তার কথা স্বীকার করেছেন, সেখানে বাজেটে কেবলমাত্র প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার গতানুগতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা ভুল। তারা বলেন, গতানুগতিকতা থেকে বেড়িয়ে এসে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও জীবিকা রক্ষা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক সুরক্ষা খাতের সম্প্রসারণ এবং কর্মসৃজনের উপর গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রণয়নে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী ও কাঠামোগত পরিবর্তন আনা জরুরি।

তারা বলেন, শহর-গ্রামের গরীব, শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষদের জন্য সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা, সর্বজনীন খাদ্য নিরাপত্তা, সর্বজনীন জনস্বাস্থ সেবা, সর্বজনীন শিক্ষা, স্বল্পমূল্যে দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের সর্বজনীন ব্যবস্থা চালু করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি বাজেট প্রস্তাবনায় অনুপস্থিত। জাসদ নেতৃদ্বয়, লুটেরা গোষ্ঠী কর্তৃক বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরৎ এনে বাজেয়াপ্ত করার বদলে মাত্র ৭% ভাগ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেয়া দুর্নীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারকেই উৎসাহিত করবে। জাসদ নেতৃদ্বয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যে বিপুল পরিমাণ ঘাটতি তা মোকাবেলায় বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ সামগ্রিক অর্থনীতির উপর বড় চাপ তৈরি করবে। তারা ঘাটতি মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়-ভোগ-বিলাস-লুটপাট বন্ধ করা, কালো টাকা এবং বিদেশে পাচার করা টাকা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তারা কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি করের আওতার বাইরে থাকা ব্যক্তি শ্রেণীতে ১ কোটি টাকা কর প্রদানে সক্ষম এমন ৫ লক্ষ কোটিপতিকে করের আওতায় আনার দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top