দাম বাড়লো গ্যাসের : এক চুলা ৯৯০, দুই চুলা ১০৮০ টাকা

gas.jpg

নিজস্ব প্রতিেদক ।।

যানবাহন খাত ছাড়া সকল ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হলো গ্যাসের। আবাসিকে গ্যাসের এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। রবিবার (৫ জুন) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক। অন্যদের মধ্য অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।

আবু ফারুক বলেন, আবাসিকে এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটারপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।

তিনি জানান, সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ল গ্যাসের দাম। এর আগে ২০১৯ সালে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন পাইকারি দাম ঘনমিটারপ্রতি ১২ দশমিক ৬০ টাকা করা হয়। ভর্তুকি দিয়ে ৯ দশমিক ৭০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি। আজকের নতুন ঘোষণায় গড় মূল্য ১৬ দশমিক ৩০ টাকা করা হয়েছে।

বিইআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রস্তাবনা আসে। ২১-২৪ মার্চ শুনানি গ্রহণ করা হয়। ৭ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি-পরবর্তী লিখিত মন্তব্য নেওয়া হয়। শুনানি পর্যালোচনা করে আইন অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুতের ট্যারিফ ৪ দশমিক ৪৫ থেকে ৫ দশমিক ০২ পয়সা হলে বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে বাড়বে। এটা সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ হবে। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দাম, পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। তবে সরকারের নীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে কমিশন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এফবিসিসিআই ও বিকেএমইএ দাম বাড়ানোর পক্ষে আছে। তবে এটা যেন এক্সপোর্টের ওপর প্রভাব না ফেলে। আমরা সরকারের সঙ্গে নানাবিধ পর্যালোচনা করে ভোক্তার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে ট্যারিফ দিয়েছি।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে পেট্রোবাংলা বলেছে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে গেছে, যে কারণে স্পট মার্কেট থেকে চড়া দরে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। এ জন্য ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দেয় গণশুনানিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top