উপজেলা প্রশাসনের সামনের সড়কে ছাত্রলীগের মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন কোম্পানীগঞ্জের গণমানুষের নেতা পৌর মেয়র আবদুুল কাদের মির্জা
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ।।
ক্ষমতার অপব্যবহার, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান, উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করাসহ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি এবং কর্তব্যে অবহেলার কারণে আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকাল ১০ টায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এক বিরাট মানববন্ধন বসুরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যক্তিসহ ছাত্রজনতা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র তার বক্তব্যে বলেন-ইউএনও করনাকালীন সময়ে প্রথম থেকে অদ্যবধি আজ পর্যন্ত উনি আমাকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করেন নি। উনি উপজেলা মসজিদে নামাজ পড়া মুসল্লিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। উনি ছাত্রদেরকে বিভিন্ন জায়গায় পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন, ভ্যানগাড়িকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে উনি স্বয়ং নিজে উপস্থিত থেকে সম্মান প্রদর্শন থেকে বিরত থাকেন। মেয়র সাহেবের আরো বলেন, উপজেলার যে খাল উদ্ধার কার্যক্রমে টিএনও – বিএনপি-জামায়াত গোষ্টির সাথে অবৈধ আঁতাত করেন। তিনি উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে কিছু জামায়াত-বিএনপি পন্থী সাংবাদিকের সাথে তাস খেলেন। তারা বাহিরে এসে দম্ভকরে করে ইউএনও-র সাথে তাস খেলে এসেছি।
মেয়র বলেন, শংকর বংশী খালের উদ্ধার প্রক্রিয়ায় ইউএনও তিনটি ঘর উচ্ছেদে অনিয়ম করেছেন, মন্ত্রীর উচ্ছেদ নির্দেশ শর্তেও মন্ত্রীর ভাগিনা বলে রাহাতের ঘর, বিএনপির সভাপতি সেলিমের ঘর ও উত্তর বাজার তেল সিরাজর ঘর উচ্ছেদ করেনি। কিছু ভাংলেও তারা আবার রাতে আধারে পূনঃনির্মাণ করেছেন। ইউএনও জানার পরও বাঁধা দেননি। আমি বলার পরও ইউএনও আদালতের নিষেধাজ্ঞার দোহায় দেখিয়েছেন।
মানববন্ধন শেষে ছাত্রলীগ বললে আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে উনাকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আগামী সাপ্তাহে লাগাতার ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে ঘোষণা করা হয়।