ছবি: সংগৃহীত ।
কুমিল্লা শহর প্রতিনিধি ।।
খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়মাল্য উঠলো আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের গলায়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এসময় প্রধান দুই প্রার্থীর সমর্থকরা দ্বন্দ্বে জড়ান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরপর, নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর (টেবিল ঘড়ি) থেকে ৩৪৩ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত
রাত সাড়ে নয়টার কিছু পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফলে বলা হয়, আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন মোট ৫০ হাজার ৩১০টি ভোট। আর মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯টি ভোট। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫৮.৭৪ শতাংশ।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছান সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি বলেন, ভোটে হেরে গিয়ে নাটক করছেন সাক্কু। এসময় তিনি বলেন, তিনি সরকারের সুবিধাভোগী নন। তাকে ইসি যে ভাষায় চিঠি দিয়েছে সেটি সঠিক হয়নি। তার এলাকায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচনই তিনি চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দিকে উপস্থিতি বেশি থাকলেও বৃষ্টির কারণে কিছুটা কমে ভোটার সংখ্যা। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়। তবে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ধীরগতির অভিযোগ করেন কেউ কেউ। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে প্রার্থীরাও একই কথা বলেন।
এবার কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। তাদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ আর হিজড়া ভোটার ২ জন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৫, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী হয়েছেন। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।