আদৌ কী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ হচ্ছে, হলে কোথায় হবে?

bnp101222.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

আদৌ কী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ হচ্ছে, হলে কোথায় হবে? এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ জনগণ থেকে রাজনৈতিক মহলের সর্বত্র। নয়াপল্টনের ভেন্যু না দিলে পুলিশের দেওয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও যাচ্ছে না বিএনপি। তবে কী তৃতীয় কোনো ভেন্যুতে হচ্ছে ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ। এই নিয়ে তর্কে বিতর্কে সোরগোল সকল আড্ডা।

সেই ভেন্যু খুঁজতে বিএনপি নেতা এ্যানি ও পুলিশের এক কর্মকর্তা বৈঠক করবেন। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বিএনপি প্রতিনিধি দল। এরপর দলটির নেতা আমান উল্লাহ আমান এই তথ্য জানান। বৈঠক শেষে বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘কোনো বিশৃঙ্খলা নয়, ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করবে বিএনপি।’

তিনি বলেন, তবে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বিকল্প ভেন্যু নিয়ে বৈঠকে বসবেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন-যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা চিঠি নিয়ে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে দেখা করে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। এছাড়াও ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন আছে বিএনপি আসলে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে ঢাকায় অবস্থান করে সরকারকে চাপে রাখতে চায়। তাই সরকার বিএনপিকে রাজপথে অবস্থানের সুযোগ দিবে না। বিএনপি চায় নয়াপল্টন না হলে শাপলা চত্বরে করতে। হেফাজতের মতো। কিন্তু বঙ্গভবন সচিলবালয়ের কারনে সরকার শেষমেষ শাপলা রাজী হবৈ বলে মনে হয় না।

এদিকে গতকাল আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের মহানগরের সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপ নেয়ায়। আওয়ামী লীগের যেমন বনোবল বেড়ে গেছে তেমনি কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সমাবেশ স্থান নিয়ে সরকারে কঠোর অবস্থনের কারনে মাঠের বিএনপি মনে করছে সরকার কী তাহলে চাপমুক্ত।

একই সাথে আওয়ামী লীগ সভাপতি বিএনপির এই সমাবেশের সময় যেন কোনো পাল্টা সমাবেশের কর্মসূচী না দেওয়া হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা প্রদান করেন। এসবের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না এবং রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে এই বার্তাটি কূটনীতিকদের কাছে যায়। কূটনীতিকরা এই বার্তাটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এরকম উদারতার পর যখন বিএনপি নয়াপল্টনের সমাবেশ নিয়ে অনড় অবস্থানে আছে তখন কূটনীতিকরা বিএনপির সমাবেশের যৌক্তিকতা এবং আসল কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন যে, নয়াপল্টনে কেন সমাবেশ করতে হবে? বিএনপি কি তাহলে রাজনৈতিক সহিংসতা করতে চায়?

পশ্চিমা তিনটি দেশের কূটনীতিকরা বিএনপির একাধিক নেতাকে ডেকেছিলেন এবং ডেকে তাদের বিস্ময় এবং বিরক্তির কথা তারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন যে, মহাসমাবেশে অন্য রাজনৈতিক দল যেভাবে যেখানে করে সেখানেই করা উচিত। নয়াপল্টনে কেন মহাসমাবেশ করতে হবে। তাছাড়া রাস্তায় এই ধরনের সমাবেশের ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ে এবং জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। কাজেই তারা যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের সমাবেশ করে এবং এটি রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং সমঝোতার জন্য ইতিবাচক হবে বলে জানিয়ে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top