মানুষের সামনে আপনি গুনাহ করতে লজ্জাবোধ করেন অথচ আল্লাহকে লজ্জা করেননি

tension.jpg

মেইল ডেস্ক রিপোর্ট

হাদিসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি নিজ আমলনামা দেখে খুশি হতে চায়, সে যেন বেশি করে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে।’’ [সহিহুল জামি’: ৫৯৫৫, সিলসিলা সহিহাহ: ২২৯৯]

ইস্তিগফার করা যায় তিন ভাবে:

(১) জিহ্বার মাধ্যমে ইস্তিগফার: শুধু জিহ্বার মাধ্যমে যে ইস্তিগফার করা হয়, সেটির মর্যাদা কম। তবে, তা ইস্তিগফার হিসেবে গণ্য হবে।

(২) অন্তরের মাধ্যমে ইস্তিগফার: এটি আল্লাহর নিকট উঁচু মর্যাদার ইস্তিগফার। অন্তরে গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর নিকট মনে মনে ক্ষমা চাওয়া।

(৩) অন্তর ও জিহ্বার সমন্বয়ে ইস্তিগফার: এভাবে ইস্তিগফার করা সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট। এতে অন্তরে গুনাহের জন্য অনুশোচনা করা হয় ও মুখ দিয়ে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।

ইস্তিগফারের সময় তিনটি বিষয় মনে রাখুন: (রামি হানাফি মাহমূদের আরবি প্রবন্ধ থেকে ভাবানুবাদ)

(১) আপনি মহাশক্তিশালী সত্তা আল্লাহ্ তা‘আলার অবাধ্যতা করেছেন, অথচ আপনি অতি ক্ষুদ্র এক সৃষ্টি।

(২) আপনি আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত (যেমন: চোখ, কান, হাত, পা, সম্পদ ইত্যাদি) ব্যবহার করে আল্লাহরই অবাধ্যতা করেছেন। এটি অনেক বড় অকৃতজ্ঞতা।

(৩) আপনি জানতেন, গুনাহ করে আল্লাহর অবাধ্যতা করছেন। তিনি আপনাকে দেখছেন, এটা জানার পরও আপনি তার অবাধ্যতা করেছেন, কোনো পরোয়া করেননি। মানুষের সামনে আপনি গুনাহ করতে লজ্জাবোধ করেন অথচ আল্লাহকে লজ্জা করেননি।

এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে যখন ইস্তিগফার করা হবে, তখন সেই ইস্তিগফারে ব্যাকুলতা থাকবে এবং আল্লাহর কাছে কবুলের সম্ভাবনা বাড়বে ইনশাআল্লাহ্। আর, অবশ্যই নিজের খাবার ও পোষাক হালাল হতে হবে এবং কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস রেখে ইস্তিগফার করতে হবে।

অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘সুসংবাদ তার জন্য, যে তার আমলনামায় অনেক বেশি ইস্তিগফার পেয়েছে।’’ [সহিহুল জামি’: ৩৯৩০]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top