সততা আমার ভিত্তি, জনতা আমার শক্তি : মিজানুর রহমান বাদল

p1.jpg

মিয়া মাকছুদ ।।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর হয়ে মাঠের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে আমজনতার আখাঙ্কা বাস্তবায়ন করতে রাজনীতির মাঠে এসেছি। আমার রাজনৈতিক গুরু সামনের কাতারের নেতা আবদুল কাদের মির্জা ভাইকে অনুসরণ করেই রাজনীতির মাঠে থাকতে চাই। দল ও জনগণের প্রত্যাশা পুরনে রাজনীতিকে সেবামুলক ও জনকল্যাণকর করতে আমি মাঠে কাজ করতে চাই। নেতৃত্ব-ক্ষমতা-কর্তৃত্ব এগুলো আল্লাহপাক মানুষকে দেন। আমি এমনটাই বিশ্বাস করি। সততাই আমার ভিত্তি, জনতা আমার শক্তি। তাই সততা আর জনতার শক্তিতে ভর করে এগিয়ে যেতে চাই। ঈদুল ফিতরের পরে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নোয়াখালী মেইলকে এসব কথা জানালেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা অওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান কর্মীবান্ধব নেতা জনাব মিজানুর রহমান বাদল।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিক হিসেবে মুখোমুখি হই কোম্পানীগঞ্জের এই জনবান্ধব নেতৃত্ব মিজানুর রহমান বাদলের সাথে। ঈদত্তোর সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও সাংবাদিকতার সূত্রে আলোচনা গড়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে নিয়ে।
উল্লেখ্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অর্থাৎ আগামী ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত সিডিউল মতে আগামী ২ মে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন।

আলোচনার শুরুতেই বাদল জানালেন আমার নেতা ও দলের সভাপতি আমাদের অভিভাবক আবদুল কাদের মির্জা ভাই যদি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতেন সেক্ষেত্রে আমরা সকলে নেতার জন্য কাজ করতাম। যেহেতু আমার নেতা মির্জা ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন না সেক্ষেত্রে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আমি দলের কাছে মনোনয়ন ও সর্বাত্মক সমর্থন চাইতেই পারি। কারণ আমার অতিত আমার দল ও কোম্পানীগঞ্জের মানুষের কাছে স্পষ্ট। এলাকার মানুষ জানে আমি তাদের পাশে কতোটা ছিলাম, আছি। আমার ধারণা ও বিশ্বাস কোম্পানীগঞ্জের মানুষ মির্জা ভাইয়ের পরে আমাকেই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে উপযুক্ত মনে করেন।
তবে আমার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেহেতু আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থীতা উম্মুক্ত করে দিয়েছে সেক্ষেত্রে স্থানীয় সিদ্ধান্তও উম্মুক্ত।
তাই আমিও দলে ও জনগণের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা যাছাই করতে উম্মুক্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবো।  ইনশা-আল্লাহ। মিজানুর রহমান বাদল বলেন, সততা আমার ভিত্তি, জনতা আমার শক্তি।

আমি জানি আমার নেতা আবদুল কাদের মির্জা ও আমার দল সেক্ষেত্রে শেষমেষ আমাকেই সমর্থন দিবে। আমি জানি অতিতে আমাদের দলে কিছু ভুল বুঝাবুজি ছিলো। আমি ও আমার নেতা আবদুল কাদের মির্জা ভাই দলের প্রয়োজনে ও মামনীয় মন্ত্রী জাতীয় নেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের নির্দেশে ও আমারা আমাদের সকল সমস্যা স্বমূলে উৎপাটন করে দলের নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় আবারো ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে সক্ষম হয়েছি। আজ কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে আমরা সকলেই ইস্পাতকঠিন ঐক্য নিয়ে কাজ করছি।

রাজনীতির বাদলকে নিয়ে হয়ত কারো কারো দ্বিমত থাকতেই পারে, রাজনীতি বিষয়টি মূলত বিভিন্ন মতের লড়াই, রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ও গঠনমূলক ভিন্নমত আখেরে দেশের জন্য ভালো। তবে বাদল একজন সৎরাজনীতিবিদ ও ভালো সংগঠক এবং আমাদের সমাজের বাদলের যে অবদান তা অনন্য, এ বিষয়ে ভিন্নমত থাকার কারো কোন অবকাশ নেই। গত তিন দশকে কোম্পানীগঞ্জের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনকে মিজানুর রহমান বাদল যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। তার সাক্ষিতো আপনি আমি নিজে। আমাদের বাঙালি ঘরনার একটি প্রবণতা আছে গুণী লোকদের যথাযথ সম্মান না করার, সম্ভবত এই কারণেই এদেশে গুণী লোকের সংখ্যা কম। কারণ আমরা সবাই নগদ নারায়নে বিশ্বাসী।
আমাদের আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বাদল জানান, আপনারা জানেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের একটি ভিভিআইপি উপজেলা। স্বাধীন বাংলাদেশের বেশিরভাগ সময় এই উপজেলায় সরকারের প্রভাবশালী নেতৃত্বরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফলে এই উপজেলা মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এই উপজেলার চেয়ারম্যান মৌসুমী রাজনীতির মানুষ হলে চলবে না। এখানে সার্বক্ষণিক সময় দিতে পারবে এমন রাজনীতি সচেতন নেতৃত্ব প্রয়োজন। আমাদের অতিত অভিজ্ঞতা আমাদেরকে এটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে আমি আগেও দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চেষ্টা করেছি এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পুরনে। এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে এতা বেশি সুয়োগ ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপজেলা পরিষদকে গণমুখি ও জনবান্ধব করার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এখন কাজ করার অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে।

আপনারা জানেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রবাসী অধ্যষিত এলাকা। স্থানীয় জনগণ, চরাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা ও প্রবাসী পরিবারে সমসাময়িক সমস্যা সমাধানে এই উপজেলায় জনপ্রতিনিধির গুরুত্ব অন্য উপজেলার চাইতে অনেক বেশি। সার্বক্ষণিক এলাকায় অবস্থান করতে পারবেনা এমন কাউকে আবারো দল বেচে নিলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যে কোন ব্যবসায়ী নেতা স্থানীয় সরকারের উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনেক বেশি বেমানান। ঢাকায় বসে উপজেলা চেয়ারম্যানী করার এখন আর সুযোগ নেই। এটা অন্তত কোম্পানীগঞ্জে প্রমাণিত।
কথা প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বাদল নোয়াখালী মেইলকে জানালেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও বিনোদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সময়সূচিকে খেলাধুলা বিনোদনবান্ধব না করে শিশুর অধিকার হরণ করে চলেছে। চলতি বছরে গত ১৭ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, লেখাপড়া খুবই দরকার কিন্তু লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করবেন না। খেলাধুলা ও নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে যেনো তারা লেখাপড়া শিখতে পারেন, যাতে তাদের সুপ্ত প্রতিভা ও মেধাবিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচি ও চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়নের নামে পূর্বের মতো পরীক্ষা ব্যবস্থাসহ শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শিশু শিক্ষার্থীর খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের লেখাপড়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানান শিক্ষক সমাজের প্রতি। প্রাথমিক শিক্ষায় বিভাগীয় পুরস্কার গ্রহণকারী মিজানুর রহমান বাদল মনে করেন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের আরো গুনগত পরিবর্তন আনতে হবে।

শিক্ষা-দীক্ষায় মিজানুর রহমান বাদল
১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খুব ছোট বেলায় জন্মদাতা পিতাকে হারান। তখন মিজানুর রহমান বাদলের বয়স ছিলো সাড়ে তিন বছর। এক বড় ভাই ও এক ছোট ভাই ৩ বোনসহ ৬ সন্তানের সংসার বিধমা মায়ের কাঁধে চড়ে চলছিলো। কিন্তু পারিবারিক সম্পদ থাকায় খুব একটা টানাপোড়নে পড়তে হয়নি পরিবারকে। মিজানুর রহমান বাদলের লেখাপড়ার হাতেখড়ি চাপরাশিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাপরাশিরহাট হাই স্কুল থেকেই। ১৯৮৮ সালে চাপরাশিরহাট হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে থানা সদরে অবস্থিত সরকারী মুজিব কলেজ থেকে ১৯৯২ সালে এইচএসসি এবং ১৯৯৬ সালে ডিগ্রী পাস করেন। স্কুলজীবন থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মিজানুর রহমান বাদল। রাজনীতির কারনে লেখাপড়ায় ধারাবাহিকতা রক্ষা সম্ভব হয়নি। তবে কখনো দমে জাননি। সময় সুযোগ বুজে আবার ঘুরে দাঁড়িছেন।
রাজনীতিতে মিজানুর রহমান বাদল

মাধ্যমিক স্তরেরই মরহুম পিতা মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর রাজনৈতিক আদর্শকে লালন করতে শুরু করেন। জাতির জনকের রাজনৈতিক সংগঠন স্বাধীন বাংলাদেশের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্কুল শাখার সভাপতি হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ মিজানুর রহমান বাদলের।
পরে ১৯৮৯ সালে চর ফকিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সেক্রেটারীর দায়িত্বের মধ্য দিয়ে সক্রিয় দায়িত্বশীল রাজনীতি শুরু করেন মিজানুর রহমান বাদল। ১৯৯৩ সালে একই কমিটির সভাপতি হন। পরে ১৯৯৫-৯৬ সালে মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ থেকে ২০১২ পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে। ২০১৬ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে শুরু করেন। একই সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এটিই মিজানুর রহমান বাদলের চলমান রাজনৈতিক পদবী ও দলীয় দায়িত্ব।
মিজানুর রহমান বাদল রাজনীতিতে একজন পোড়খাওয়া মানুষ। জেল জুলম হুলিয়া মাথায় নিয়ে ঘুরেছেন জীবনের অনেকটা সময়। রাজনৈতিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে বহুবার। বার বার জেল খেটেছেন। বর্তমানেও সিকি শতক মামলা মোকাবেলা করছেন। সরকারী দল করেও কোর্টের বারিন্দায় দিন কাটে মাসের বেশ কয়েকটা দিন।
মিজানুর রহমান বাদল মনে করেন, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আলোকিত মানুষ তৈরিতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল। এই সমৃদ্ধ জনবল সৃষ্টিতে প্রয়োজন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান। দলে ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে মেধাবী, অভিজ্ঞদের শতভাগ নজর দিতে হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন ত্বরান্বিত হবে। গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে আলোকিত বাংলাদেশ।

সমাজসেবায় মিজানুর রহমান বাদল
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজকে নিয়েই মানুষের বেড়ে উঠা। সমাজের যে কোন আচার-অনুষ্ঠান, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ও সামাজিক অসঙ্গতিতে এক সময়ে মিয়া ভূঁইয়াদের অবদান থাকলেও জমিদারি প্রথার বিলুপ্তির পর সমাজে মিয়া ভূঁইয়াদের সামাজিক অবস্থান দিন দিন কমে যায়। একসময় ষাটের দশকের পর এবং সত্তরের দশকের শুরু থকেই থেকে এসব সামাজিক কাজে আগে নেতৃত্ব দিতে থাকে রাজনৈতিক নেতারা। মিজানুর রহমান বাদলও ব্যতিক্রম নয়। রক্তের নেশায় রাজনীতি করতে এসে সামাজিক রাজনীতিতেও চলে আসেন। সমাজের নানা অসঙ্গতি গুলো বাদলকে ভাবায়। পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবায় কাজ শুরু করেন। এলাকার শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে কাজ করতে থাকেন। এক সময় সমাজসেবায় জাতীয় পুরুষকারও মিলে যায়। দলের পাশাপাশি সামাজিক অঙ্গন ও গণমানুষের আপনজন হয়ে উঠেন মিজানুর রহমান বাদল।

রাজনীতির পাশাপাশি মিজানুর রহমান বাদল বহু সমাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাথে সম্পৃক্ত। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ আইন ও সালিশ কেন্দ্র ২০১০ সালে মিজানুর রহমান বাদলকে গোল্ড মেডেল প্রদান করলে চর ফকিরাবাসী মিজানুর রহমান বাদলকে ১৬ এপ্রিল ২০১০ সালে বিশাল গণসংবর্ধনা প্রদান করে। এই সংবর্ধনাই মিজানুর রহমান বাদল-এর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
মিজানুর রহমান বাদল বর্তমানে সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা বসতির চেয়ারম্যান, পথিকৃত ঘেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠাতা, চাপরাশিরহাট ইসমাইল কলেজ, কবি জসীমউদ্দীন স্কুল, চর ফকিরা উচ্চ বিদ্যালয়, পন্ডিতেরহাট হাই স্কুলের দাতা সদস্য এবং চরফকিরা মডেল একাডেমি, মারকাজুল ইসলামী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্তমানে কবি জসীমউদ্দীন স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য নিজের পিতার নামে নিজের জমিতে ও নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরী হাই স্কুল।
এছাড়া মিজানুর রহমান বাদল উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময়ে কোম্পানীগঞ্জের স্বাস্থ্যখাতে ও প্রাথমিক শিক্ষাখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছেন। এই জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কারেও ভুষিত হন। মিজানুর রহমান বাদল এমন এক ব্যক্তি যিনি নিভৃত-নিরবে সমাজসেবা, জনসেবা এবং শিক্ষা/ধর্মীয়/সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ ও কবিহাট উপজেলার প্রায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানা, রাস্তা-ঘাট ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সরসরি ভূমিকা রাখেন।

জনপ্রতিনিধি মিজানুর রহমান বাদল
আমাদের সামাজিক বাস্তবতায় কালের বিবর্তনে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের পরে দেশে সামরিক নিয়ন্ত্রণে রাজনীতি চলে গেলে সমাজের অনৈতিক চরিত্রের মানুষগুলো রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠে। বিশেষ করে জিয়া এরশাদের শাসনামলে সরকার দলের রাজনৈতিক নেতা জনপ্রতিনিধি হয়ে সমাজের নেতৃত্ব দিতে থাকেন। কোম্পানীগঞ্জেও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সময়ে এমন অবস্থার উন্থান লক্ষ করা গেছে। বর্তমানেও রাজনৈতিক দল না করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেতো স্থানীয় সরকারকে শতভাগ দলীয় করণ করেন দলের প্রতীকে নির্বাচনের মাধ্যমে।

রাজনীতি ও সামাজিক কাজের মাধ্যমে মিজানুর বাদল চর ফকিরা ইউনিয়নের গণমানুষের হৃদয়ে দাগ কাটতে সক্ষম হন। ২০১১ সালে ২ জুনে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে চর ফকিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান বাদল। চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি বিআরডিবির জরিপে সেরা চেয়ারম্যান মনোনীত হন। প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানে কোম্পানীগঞ্জের সেরা চেয়ারম্যান মনোনীত হন। পরে ২০১৪ সালে ৪র্থ উপজেলা নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এসময় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান মনোনীত হন।
২০১৪ সালে ৪র্থ উপজেলা নির্বাচনে মিজানুর রহমান বাদল আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পুরো উপজেলা গণমানুষের সুখে দুঃখে সার্বক্ষণিক সময় সময় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
স্বল্প এই বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে মিজানুর রহমান বাদল কোম্পানীগঞ্জের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শান্তির জন্য কাজ করেছেন। অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সবক্ষেত্রেই দেশপ্রেম, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ ও সময়ানুবর্তিতার এক অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। বর্তমান সময়ে তাঁর মতন একজন বহুমাত্রিক গুণসম্পন্ন “পরিপূর্ণ মানুষ”-এর বড়ই অভাব আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে।

শিক্ষানুরাগী মিজানুর রহমান বাদল
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল শিক্ষা-দীক্ষায় অনেকটা অবহেলিত। দক্ষিণাঞ্চলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত শিশুদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল তার মরহুম পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর নামে ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৯ জন শিক্ষকদের বেতন ভাতাসহ ছাত্রছাত্রীদের নানান সমস্যা নিয়ে অনেক ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করতে হয়েছে প্রতিষ্ঠাতা মিজানুর রহমান বাদল কে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি বর্তমানে এমপিওভুক্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চরাঞ্চলের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় দক্ষিাণাঞ্জলের মানুষের মনে ও প্রাণে খুশির বন্যা বইছে। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা পেলো বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীরা। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষা মন্ত্রীসহ সম্পৃক্ত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অত্র স্কুলের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা মিজানুর রহমান বাদল।

এছাড়াও মিজানুর রহমান বাদল চরফকিরর চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা কালে এলাকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গতিময় করতে সর্বদাই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। বর্তমানেও মিজানুর রহমান বাদল করি জসীম উদ্দীন হাই স্কুলসহ অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে আছেন, দাতা সদস্য, শিক্ষানুরাগী সদস্য ও অভিভাবক সদস্য হিসেবে উন্নয়নে ও উত্তরণে কাজ করছেন।

কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে বাদলের আগামীদিনের স্বপ্ন
দেশের সুপরিচিত ও ভিআইপি উপজেলা হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বেশ পরিচিত। এছাড়া দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞ অভিজ্ঞ বার বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় নেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের নির্বাচনী এলাকা ও জন্মস্থান হিসেবে কোম্পানীগঞ্জকে দেশসেরা উপজেলা বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। তাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান হতে হবে সার্বক্ষণিক সময় দিতে পারে এমন কাউকে। এখানে ব্যবসায়ী নেতারা অতিতে খাপখাওয়াতে পারেনি তা প্রমাণিত সত্য।
এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ মানে শুধু বসুরহাট কেন্দ্রিক নয়। আমাদের বিশাল দক্ষিাণাঞ্চল নিয়েই কোম্পানীগঞ্জ। তাই কোম্পানীগঞ্জের মানুষের দৈনন্দিন সুবিধার কথা ভেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে হবে। কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে উন্নয়নে আমার আগামীর ভাবনাসমুহ নিন্মরূপ..
প্রথমত, আমি চাই আমাদের নেতার প্রাণের এলাকা কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের দ্বারপ্রান্তে সরকারের সকল সুবিধা পৌঁছে দিতে। তাই মানুষকে যেন আমাদের দ্বারে নয়, আমরা যাবো মানুষের দ্বারে সরকারে সুবিধা পৌঁছে দিতে।

দ্বিতীয়ত, সকলের সাথে সমন্বয় করে আমার নেতা আবদুল কাদের মির্জার পরামর্শে সকল ইউনিয়নকে সমগুরুত্ব দিয়ে সমহারে এলাকার উন্নয়ন কাজ করতে হবে।

তৃতীয়ত, কোম্পানীগঞ্জের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিক্তিতে উন্নয়ন কাজ ত্বারান্বিত করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নদী ভাঙ্গন সমস্যা, ভূমিহীন সমস্যা, কিাশের গ্যাং সমস্যা, রাজনীতির নামে অনৈতিক প্রভাবকে নিরোধসাহিত করা। সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।

চতুর্থত, সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে সকলের মতামতের ভিক্তিতে অগ্রধিকার হারে গ্রামীণ জনপথের উন্নয়ন সম্পূর্ণ করতে সরকারকে সহযোগিতা করা।

পঞ্চমত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাকে গুরুত্বে দিয়ে শিক্ষার হার শতভাগ উন্নয়ন করা এবং নিরক্ষকতারহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বদিয়ে আমাদের নৈতিক ও মানবিক শিক্ষার প্রসার করা। ধর্মীয় মৌলবাদীদের ঘৃণার চাষাবাদের সাথে পাল্লা দিয়ে নয়, তাদের সাথে কথা বলে আমাদের গ্রাামেগঞ্জে মানবপ্রেম ও সহমর্মিতার বীজ বপন করতে চাই। আমাদের সমাজে মানুষের এমন মূল্যবোধ আছে বলেই এদেশটাতে এখনো মানুষ আছে। আমাদের শহুরে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা আজকাল আর গ্রামীণ জীবনে আকৃষ্ট হচ্ছে না। কারণ আমাদের শিকড়ের সাথে নতুন প্রজন্মের আত্মিক যোগাযোগ কমে গেছে। এখন আর বাংলার বাউলের একতারা তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই গ্রামীণ জীবনমান উন্নত করে এবং শহরের সকল সুবিধা নিশ্চিত করে আমাদের আগামী প্রজন্মকে শিকড়ের কাছে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে।
ষষ্ঠত, আবেগ নয় বিবেককে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নতুন প্রজম্মকে মাদকের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। নেশা নয়, জ্ঞান বিজ্ঞানে আকৃষ্ট করতে হবে আগামী প্রজন্মকে। খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরো সম্বৃদ্ধ করতে হবে। পাঠাগার আন্দোলনকে কিশোর যুবকদের হাতে তুলে দিতে হবে।

সপ্তমত, সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন গ্রামকে শহর করার আন্দোলনে গতিময় করে, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া এবং অনাবাদি ফসলী জমিকে চাষের আওতায় আনতে আধুনিক কৃষি উপকরণ মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানো।

ব্যক্তিগত জীবনে মিজানুর রহমান বাদল
জনাব মিজানুর রহমান বাদল, জনতার কাছে বাদল চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত। মিজানুর রহমান বাদল-এর পিতা সিরাজুল আলম চৌধুরী, মাতা নূর জাহান বেগম। জন্ম ১৯৭২ সালের ১ ডিসেম্বর চর ফকিরা ইউনিয়নে। ব্যক্তি জীবনে মিজানুর রহমান বাদল ২০০৪ সালে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুরে করেন। বাদল তিন কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক।

মিজানুর রহমান বাদল এর শেষ কথা
জনাব মিজানুর রহমান বাদল বলেন, আমি কখনো নির্ভুল মানুষ ছিলাম না, দোষের মধ্যেই ছিলাম ও আছি। আমি আমার আল্লাহর প্রতি সব সময় ভরসা করি। আমার কষ্ট হলোও একদিন আমার আল্লাহ সবকিছু ঠিক করে দিবেন-ইনশাআল্লাহ। আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার জনতার শক্তিতে যদি আবারো কোম্পানীগঞ্জবাসীর সেবা করার সুযোগ পাই তাহলে আমি আমার অতিতের ভুল-ক্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো ভালো কিছু করে আপনাদের অন্তরে জায়গা করে নিতে চাই। তাই আমার ছোট-খাটো ভুলের জন্য সবার কাছেই ক্ষমা চাই এবং আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সবার নিকট ভোট ও দোয়া চাই। মানুষের জীবন অনেক ছোট, আমরা কেউই জানি না আমাদের আয়ুকাল আর কতো সময় আছে, জানি চলে যেতে হবে একদিন। যদি আল্লাহর সন্ধান চাও গো তবে মানবপ্রেম রাখিও অন্তরের ভিতর। আমি এই প্রবাদকে বিশ্বাস করি। তাই আমি চাই আমার ভালো কাজগুলো আপনাদের চোখের সামনে আমার মৃত্যুর পরও আমাকে বাঁিচয়ে রাখুক কোম্পানীগঞ্জের মানুষের অন্তরে অন্তরে।

নোয়াখালী মেইল : ঈদের এই ব্যস্ততার মাঝেও আপনি কোম্পানীগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জের আম জনতার এবং এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আশা করি কোম্পানীগঞ্জবাসী ও আপনার দল এবং এলাকার জনগণ কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে আপনার উন্নয়ন ভাবনার গুরুত্ব দিবে এবং আপনার হাতেই আগামীদিনের কোম্পানীগঞ্জকে দেখতে পাবে।

মিজানুর রহমান বাদল : আপনাদেরও ধন্যবাদ।আমার কথাগুলো আমার প্রিয় কোম্পানীগঞ্জবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। ঈদ মোবারক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top