স্বপ্ন যাত্রা।। ব্যবসাকে জনকল্যাণে সেবামুলক করতে হবে : মাইন উদ্দিন

Mayen-Vai.jpg

মিয়া মাকছুদ ।।

সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। মানুষকে তার কর্মেই তার প্রমাণ দিতে হবে সে সেরা। পরিবার সমাজ দেশ সকল পরিসরেই নিজ মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে মানব সভ্যতার বিকাশে ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে সকলের। সকল কাজে যদি মানবসেবা নিয়ত বা মানসিকতা নিয়ে সমাজের উন্নয়নে কাজ করা হয় তবে নিজের সাথে সাথে সমাজকেও এগিয়ে সম্ভব। হ্যাঁ এমনটাই বলেছেন ফেনীর দাগনভূঞার কৃতিসন্তান ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেশের স্বাস্থ্যখাতের মানবিক মানুষ আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন।
ধর্মীয় ও জাগতিক নিয়ম মেনে চলা সরল স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ জনাব মাঈন উদ্দিন মানুষের মানবিক বোধকে জাগিয়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। হাসিখুশি স্বভাবের এই মানুষটির খুব কাছাকাছি যাওয়ার সৌভাগ্য আমারও হয়েছিলো। আমার মনে হয়েছে তাঁকে অনুকরণ অণুস্মরণ করলে আগামী রাজনৈতিক এবং সমাজ পরিবর্তনের একজন সঠিক মানুষ কি করে হওয়া যায়। তা তাঁর জীবন দর্শন মনে করলে বা সামনে আনলে শ্রদ্ধা বোধ তৈরি হয়। আমাদের পাঠকদের এই গুনী মানুষটার সাথে পরিচয় করে দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন লেখাপড়া ধর্মীয় অনুশাসনে পরিচালিত মাদ্রাসায় শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত। ধর্মীয় শিক্ষার কৃতিত্বে সাথে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়েও জাগতিক জীবনের প্রয়োজনে আধুনিক যুগের লেটেস্ট প্রযুক্তি কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন। এরই ফাঁকে টুকটাক ব্যবসা পরে নিজ জন্মস্থান দাগনভূঞায় ব্যবসা শুরু করেন। দেশের সর্বশেষ টেকনোলজি বিষয়ক কম্পিাউটার ব্যবসা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে সাইট ব্যবসা হিসেবে জনশক্তি রপ্তানী ও বহিঃগমন যাত্রীদের টিকেট বিক্রি করতেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা খাতে ব্যবসা করছেন। তিনি ফরাজী হাসপাতাল ভাটারা শাখা ও মাদানী হাসপাতাল ভাটারার নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মফস্বঃল শহর থেকে একসময় ব্যবসা সম্প্রসারণ করার লক্ষে দেশের রাজধানী শহর ঢাকাতে চলে আসেন। এসময় ইউরোপ, আমেরিকা, সাউথ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে জনশক্তি রপ্তানী করে দেশের রেমিটেন্স বৃদ্ধিকে সহায়তা করতে অনবরত কাজ করেছেন ফেনীর এই কৃতিসন্তান। পরে ব্যবসার ধরণ পরিবর্তন করে মানবসেবার নিয়তে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ করেন। স্বাস্থ্যবন্ধুখ্যাত ডা. আনোয়ার হোসেন ইমন ফরাজীর সাথে হাসপাতাল ও ডায়গোনেস্টিক ব্যবসায় পথচলা শুরু করেন। প্রথমে ফরাজী হাসপাতাল বনশ্রীর অংশীদার হলেও পরে বারিধারাস্থ বাটারার ফরাজী ডায়গোনেস্টিক এন্ড হাসপিটালের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সার্বক্ষনিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বর্তমানে ফরাজী হাসপাতাল, ফরাজী ডেন্টাল ও ফরাজী ডায়গোনেস্টিক এন্ড হাসপিটালের একজন অংশীদার এবং ফরাজী ডায়গোনেস্টিক এন্ড হাসপিটালের বাটারা শাখার প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর সাথে নিজস্ব আরো একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। রাসুলের আশেক জনাব মাঈন উদ্দিন এবার হাসপাতালের নামকরণ করেন মাদানী হাসপাতাল। ঢাকার বাটারা ১০০ ফিটে মাদানী হাসপাতালের অবস্থান।
এছাড়াও জনাব মাঈন উদ্দিন বিডি ফিউচার ডেভেলপমেন্ট নামে হাউজিং ও ডেভেলপার ব্যবসার সাথেও সরাসরি জড়িত। নিজের মানবিক ও সামাজিক ব্যবসার পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকায় ও ঢাকাতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠনের পরিচালনার সাথে সরাসরি জড়িত।
ছাত্রজীবন থেকেই জনাব মাঈন উদ্দিন সমাজ ও রাজনীতি সচেতন ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রসেনার নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিজ ক্যাম্পাসসহ উপজেলা-জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্ররাজনীতিতে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসন তথা দাগনভূঞা-সোনাগাজী আসনে দলের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।
ধর্মীয় গোড়ামী নয় বা অন্ধবিশ্বাসও নয়, কোরআন সুন্নাহ মতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবন গড়তে চলমান সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর আমাদের আজকের এই আয়োজনের কৃতি ব্যক্তিত্ব জনাব মাঈন উদ্দিন।
স্বাস্থ্যসেবা খাতকে সমাজের সময়োপযোগী করতে ও সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসতে স্বাস্থ্যবন্ধু ডা. ইমন ফরাজীর পাশে থেকে ফরাজী হাসপাতাল বারিধারাস্থ বাটারা, নতুন বাজার শাখার দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে মানব সেবায় ভূমিকা রাখছেন।
পৃথিবীতে কিছু ক্ষণজন্মা মানুষের জন্ম হয় মানুষের সেবা করার জন্য। তিনি ফেরেশতা নন, তিনিও আমাদের মতই মানুষ। মানুষ হিসেবে কর্মে চলনে-বলনে মনের অজান্তে ভুল থাকতেই পারে। তারপর কিছু মানুষ প্রমাণ করেন তিনি অনেকের থেকে আলেদা। এটা বলে কয়ে হয় না। ব্যক্তির কাজে কর্মে প্রমাণ হয়। আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন তেমনই একজন মানুষ। তিনি আমাদের সমাজকে ও নিজের পরিচিত মন্ডলের সবাইকে নিয়ে সমাজকে টেনে তুলতে চান আগামী প্রজন্মের জন্য মানবিক করে।
পরিশ্রমী কর্মনিষ্ঠ সমাজবান্ধব ও বন্ধুবৎসল একজন মানুষ, পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা এবং পরিচালক। তিনি একজন আদর্শিক নেতা ও পরিশ্রমী ও মেধাবী সংশপ্তক কর্মবীর।
ফেনী জেলার এমন কোন ধর্মীয় শিক্ষা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান হয়ত পাওয়া যাবে না, যেখানে জনাব মাঈন উদ্দিনের পদধূলি পড়ে নাই। নিজ নির্বাচনী আসনসহ ফেনী জেলার এ প্রান্ত থেকে জেলার অপর প্রান্তে চষে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও ছাত্রসেনার সাংগঠনিক কাজে। রাজনীতির দূর্গম বক্র পথ পাড়ি দিয়ে তিনি আজ নিজের সক্ষমতা অর্জন করে প্রমাণ করেছেন উদ্দেশ্য সৎ হলে কোন কাজই কঠিন না। তার অনেক যোগ্য সহযোদ্ধা ও রাজপথের সংগ্রামে সাহসী বন্ধু ছিলেন এবং আছেন। সবাই হয়ত মেধা মননে তার মতো উৎরায়ে উঠতে পারেন নাই বা ব্যাটে বলে সংযোগ না হওয়াতে পিছিয়ে পড়ছেন। তাদের হতাশ হলে চলবে না। সময় হলে তারা ও স্বমহিমায় মহিমান্বিত হয়ে প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠবেন এবং তাদের যথা যোগ্য মর্যাদা দিতে হবে এবং যোগ্য স্থানে অবশ্যই বসাবে সকলে মিলে। এটাই তো রাজনীতি। তবে এই মূহুর্তে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত-এর ফেনীর দলীয় পরিমন্ডলে জনাব মাঈন উদ্দিনের একজন বিকল্প মানেই তিনি নিজেই। ফেনীর স্থানীয় রাজনীতিতে তার শিক্ষা ও রাজনৈতিক ফাউন্ডেশনের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক প্রায় শেষ। দাগনভুঞা ও সোনাগাজীর মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন জনাব মাঈন উদ্দিন। ফেনী ৩ আসনের আগামীর সম্ভাব্য নেতৃত্ব হিসেবে মাঈন উদ্দিন এখন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

পারিবারিক পরিচিতি

১৯৭২ সালের ১লা মার্চ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের কমর উল্যাহ পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জনাব মো. মাঈন উদ্দিন। পিতা মরহুম মোঃ আবদুর রব শীপে চাকুরী করতেন। মাতা আছিয়া খাতুন পুরোপুরি একজন গৃহিনী ও মমতাময়ী মা ছিলেন। মায়ের যতেœ ও পরিচর্চায় বড় হয়ে ওঠেন জনাব মাঈন উদ্দিন। আমাদের অঞ্চলে জাহাজীওয়ালা পরিবারের সন্তানরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিগড়ে যায়। যে পরিবারে মা রক্ষণশীল ও সাংসারিক হন সেই পরিবারের সন্তানরাই কেবল সুসন্তান হয়ে ওঠে। ফলে জনাব মাঈন উদ্দিনের আজকের অবস্থানের পেছনে তার মমতাময়ী মায়ের অবদান অনেকখানি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।


তৎকালীন সময়ে আমাদের সমাজে নাবিকবৃত্তি একটি পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী পেশা ছিলো। নাবিকদের বলা হতো জাহাজীওয়ালা। এই জাহাজীওয়ালারা বছর বা দুই বছর পর পর দেশে আসতেন। সাথে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের জন্য অনেক সোনা অলঙ্কার, গরম কাপড়, বিদেশী খাবার নিয়ে আসতেন। বাড়িতে এলে সকল আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে খাওয়াতেন। বড় বড় জেয়াফত দিতেন। আশপাশের বিপদগ্রস্ত মানুষের জমি জায়গা কিনে নিতেন। আবার অনেক সময় জাহাজে ডাক পেতে দেরী হলে এইসব জমি বিক্রি করেই আলীসান চলাফেরা অব্যাহত রাখতেন।
জনাব মাঈন উদ্দিন-এর পরিবারে ৪ ভাই ২ বোন। পরিবারে তিনি ৩য় সন্তান। পিতার শেষ সময়ে ও মৃত্যুর পরবর্তী সংসারের অভিভাবকত্ব তার কাঁদেই আসে। পারিবারিক সেই দায়িত্ব তিনি সফল ভাবেই পালন করছেন।

ছাত্র জীবনে মোহাম্মদ মাঊন উদ্দিন

আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন-এর লেখাপড়ার হাতেখড়ি নিজ গ্রামেই কমর উল্যাহ পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। সামাজিক মক্তবে ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেই অ, আ ক খ-র প্রাথমিক স্তরের লেখাপড়া শেষ করে পরে পরিবারের ইচ্ছায় দাগনভূঞা আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং ১৯৯১ সালে এই মাদ্রাসা থেকেই মাধ্যমিক স্তর অর্থাৎ দাখিল পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। পরে আরো উন্নত লেখাপড়ার আশায় চলে যান চট্টগ্রাম ওয়াজেদীয়া আলিয়া মাদ্রাসায়। এখানেও সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে ১৯৯৪ সালে আলিম পাশ করেন। এরপর একই মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথম বিভাগে কামিল পাশ করেন।
এরপর যুগের সাথে তালমিলিয়ে নিজের কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রী নেন। জানার ও বুঝার আগ্রহ থেকে এখনও নিয়মত লেখাপড়া করেন তিনি। সমাজ ও রাজনীতি সচেতন আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন সিদ্ধান্ত নেন ধর্মীয় মোল্লাগিরি নয়, জাগতিক প্রয়োজনে তার পেশা হবে আধুনিক ও সময়োপয়োগী ডিজিটাল যুগের প্রয়োজনীয় সামাজিক ও মানবিক ব্যবসা। যা সমাজ ও মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। আগামী প্রজন্মকে আধুনিক ও ডিজিটাল জ্ঞানে সময়োপয়োগী করবে।

কর্ম জীবন

জাহাজীওয়ালা পিতা মরহুম মোহাম্মদ আবদুর রব জনাব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিনকে চট্টগ্রামে লেখাপড়া করার জন্য মাসিক দুই হাজার টাকা করে দিতেন। ৯০-এর দশকে এই দুই হাজার টাকায় মাঈন উদ্দিন লেখাপড়ার খরচ ও হাতখরচ ভালোভাবে চলে যেতো। একদিন জুতা কিনতে চট্টগ্রাম রেয়াজ উদ্দিন বাজারের আবদুল লতিফ মার্কেটে যান। পরিচিত এক দোকান থেকে জুতাও কিনেন। জুতা কিনা শেষে সেই দোকানের সেলসম্যান জনাব মাঈন উদ্দিনকে বলেন, ভাই আমার মালিক দোকান ছেড়ে দিচ্ছেন। আমারও চাকুরী নেই, আর হয়ত দেখা হবে না।
জনাব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন হঠাৎ চিন্তায় পড়ে গেলেন। বললেন, তোমার চাকুরী থাকবেনা কেন? ছেলেটির চাহনীতে চরম হতাশার চাপ দেখে মায়া লাগলো তার। ছেলেটি বললো কে না কে দোকান নেন তিনি অপরিচিত ছেলেকে কেন চাকুরীতে নিবেন?


জনাব মাঈন উদ্দিন একপলক ভেবে জানতে চাইলেন দোকান নিতে কত পুজি লাগবে। ছেলেটি দোকানের অগ্রীম ও মালামাল ও নতুন মাল তুলতে সব মিলিয়ে ৫০/৬০ হাজার টাকা হলে চলবে হবে বলে জানালো। সাথে সাথে মুখে হাসির ঝিলিকও দেখা গেলো। তার এই হাসির ঝিলিকটা ধরে রাখতে চান তিনি।
চিন্তার জন্য ২/৩ দিন সময় নিলেন। তারপর মনের অজান্তে চলে আসা ভাবনার বিষয়টি জাহাজীওয়ালা বাবাকে জানালেন এবং বললেন আমাকে খরচের জন্য যে দুই হাজার টাকা দেন, আপনি দুই বছরের টাকা আমাকে একসাথে পঞ্চাশ হাজার দেন। আমি আগামী দুই বছর আর খরচের টাকা নিবো না, ব্যবসার লাভ থেকে খরচ চালাবো।
যেমন কথা তেমনি কাজ। বাবাও রাজি হলেন, যথা সময়ে দোকানটিও চালু করা হলো। এসময় ব্যবসায় প্রয়োজনে লেখাপড়ার পাশাপশি ব্যবসায়ও সময় দিতে থাকেন জনাব মাইন উদ্দিন। এই সুস্টোরের ব্যবসাই আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন-এর প্রথম ব্যবসা এবং প্রথম কর্মজীবনে প্রবেশের মাধ্যম।


দিনে দিনে ব্যবসাও বেশ উন্নতি হচ্ছে। বছর তিনেক সু-স্টোরের ব্যবসা জমজমাটভাবে চালান। এরই মাঝে কামেল পরীক্ষা দিয়ে ১৯৯৪ সালে মোঃ মাঈন উদ্দিন কম্পিউটার হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেন এবং কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রী নেন।
কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা করার পর জনাব মাঈন উদ্দিন ঠিক করলেন দেশের নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করাতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করতে হবে। সেই লক্ষে তিনি নিজ উপজেলা সদরে দাগনভূঞা কম্পিউটার সেন্টার নামে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা শুরু করেন। এই সময়ে আইএসডি ফোন ও ফোন এন্টিনা ব্যবসা বাজারে নিয়ে আসে সেবা টেলিকম ও গ্রামীন ফোন। কম্পিউটার ব্যবসার পাশাপাশি সেবা টেলিকম ও গ্রামীন ফোনের এজেন্ট নিয়ে আইএসডি ফোন ব্যবসাও সংযোজন করেন। প্রবাসী অধ্যাষিত ফেনীর দাগনভূঞা ও নোয়াখালী উত্তর অঞ্চলের মানুষের মাঝে আইএসডি ফোন ব্যবসা জনপ্যিয় ও লাভ জনক হয়ে ওঠে।
১৯৯৩ সালের ৫০ হাজার টাকার পুজির সেই সুস্টোর মাত্র ২/৩ বছরে কয়েক লক্ষ টাকার ব্যবসায় পরিণত হলো। ১৯৯৬ সালে প্রায় ছয় লক্ষ টাকায় সুস্টোর ছেড়ে আসেন। এরই মধ্যে বাবার ৫০ হাজার টাকাও বাবার বিশেষ প্রয়োজনে ফেরৎ দিয়ে দেন।
জনাব মাঈন উদ্দিন কথা প্রসঙ্গে আমাদের জানালেন, দাগনভূঞার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা এবং সেবা টেলিকম ও গ্রামীন ফোন-এর আইএসডি ফোন ব্যবসাও আমাকে ফেভার করলো দারুনভাবে। তারপর আরো বড় কিছু করার চিন্তা মাথায় এলো। পথ খুজতে শুরু করলাম।
ইতোমধ্যে আইএসডি ফোন ব্যবসার সুবাদে বেশ কয়েকজন প্রবাসীর সাথে আমার সখ্যতা গড়ে ওঠে। তাদের অনুরোধে বিমান টিকেট পাসপোর্ট কাজে সহযোগিতা করতে লাগলাম। এখানেও ব্যবসা হচ্ছিল। ২০০০ সালের দিকে ঢাকায় এস এ ট্রাভেলস নামে ট্রাভেলস এজেন্ট ব্যবসা শুরু করি। এসময় ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকায় প্রচুর ম্যানপাওয়র রপ্তানীতে সহায়ক হিসেবে কাজ করি।
এক কথায় বলা যায় মোঃ মাঈন উদ্দিন-এর কারণে পরবর্তীতে ফেনী নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক পবিবারের ভাগ্য ফিরেছে। তারা স্বচ্ছল হয়ে ওঠেছেন এবং সুখের মুখ দেখেছেন। তবে ঢাকায় ব্যবসা করার চিন্তার শুরুতে জীবনের বড় ধাক্কাটা স্বজোরে লাগে মনে ও অর্থনৈতিক গন্ডিতে।

ঢাকার জিরো পয়েন্টের পীর ইয়ামেনী মার্কেটের ৪র্থ তলা থেকে টপ ফ্লোর পর্যন্ত টেন্ডারে নিয়ে যৌথ মালিকানায় একটি আবাসিক হোটেল সাথে একটি রেস্টুরেন্ট করার জন্য কাজ শুরু করি। সবকিছু ভালোভাবে চলছিলো। শেষের দিকে আবু তাহের নামক ভূয়া এক ইউএনপিডিপির কর্মকর্তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে। যাহা আমার ব্যক্তি জীবনে মানুষের প্রতি বিশ্বাসের জায়গায় বড় ফাঁটল তৈরি করেছে।
জনাব মাইন উদ্দিন এসময় বলেন, তারপরও আমার আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা আমাকে পথ চলতে সাহস যুগিয়েছে। এসময়ে আমার জীবনে আমি পেয়েছি আমার এক প্রিয় বন্ধু ও ভাই ঢাকার বিশিষ্ট ট্রাভেলস ব্যবসায়ী সেনবাগের কৃতি সন্তান জনাব সাহাব উদ্দিন ভাইকে।
আবারো নতুন উদ্দ্যমে পথ চলা, এবারো অনেকের পাশে চলেছি। ব্যবসা করেছি। বাংলাদেশ সরকারের রিজার্ভের অংককে আরো বড় করে তুলতে রিজার্ভ বড় করার অন্যতম মাধ্যম রেমিটেন্স আনতে বিশ্বব্যাপী বৈধ ম্যানপাওয়ার রপ্তানীতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছি। এসময় মোঃ মাঈন উদ্দিন-এর চেষ্টায় ও বুদ্ধি মেধা ঘাটিয়ে বৈধ পথে ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকায় প্রচুর ম্যানপাওয়র রপ্তানী করেন। বলা যায় মোঃ মাঈন উদ্দিন-এর কারণে আজ ফেনী নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক মানুষের ভাগ্য ফিরেছে। স্বচ্ছল জীবনে সুখের মুখ দেখেছেন।
এসময় মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফন করেন ও ২০১২ সালে ডুবাইতেও গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। এসময় ২০১১ সালে দেশেও বিডি ফিউচার প্রপ্রাটি নামে হাউজিং ব্যবসা শুরু করেন। বিডি ফিউচার প্রপ্রাটি ডেভেলপমেন্ট লি. নামে এই ব্যবসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মাঈন উদ্দিন। জনাব মাইন উদ্দিনের অতিতের ব্যবসার মধ্যে হাউজিং ব্যবসাটা ছাড়া প্রায় সকল ব্যবসাই পরে গুটিয়ে নেন। তবে মোঃ মাঈন উদ্দিন-এর এই ব্যবসায়ীক জার্নিতে আরেকজন মানুষ বড় সহায়ক শক্তি ছিলেন। তিনি হলেন জনাব মোঃ মাঈন উদ্দিন-এর বন্ধু, ভাই, ব্যবসায়ীক পার্টনার জনাব গোলাম মাওলা। জনাব মো. মাঈন উদ্দিন ও গোলাম মাওলা এই জুটির ব্যবসা লম্বা সময় চললেও সেটিরও যবানিকা টানেন সম্প্রতিক সময়ে। তবে বর্তমানে তাদের ব্যবসা আলেদা হলেও বন্ধুত্ব চলমান। আজীবন তাদের এই বন্ধুত্ব চলমান থাকুন।
২০১৯ সালে আগের অনেক ব্যবসা গুটিয়ে স্বাস্থসেবা খাতের মানবিক ব্যবসা শুরু করেন তিনি। স্বাস্থ্যবন্ধুখ্যাত ডা. ইমন ফরাজীর ঢাকার বনশ্রীতে প্রতিষ্ঠিত ফরাজী হাসপাতালের মালিকানার অংশীদার হন। বর্তমানে তিনি ফরাজী হাসপাতাল লি. বনশ্রীর পরিচালক, ফরাজী ডেন্টাল হাসপাতারের পরিচালক এবং ফরাজী ডায়গোনেস্টিক এন্ড হসপিটাল বাটারার পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী। জনাব মাইন উদ্দিন-এর হাত ধরে ফরাজী হাসপাতাল বাটারা এগিয়ে চলেছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের আস্তার প্রতিক হয়ে ওঠেছে ফরাজী হসপিটাল বাটারা শাখা। হাসপাতাল ব্যবসায় এসেও জনাব মাঈন উদ্দিন বেশ কয়েকজন ভালো বন্ধু পেয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ডা. ইমন ফরাজী, ডা. মুক্তার হোসেন, ডা. মাসুম।
জনাব মাঈন উদ্দিন বর্তমানে হসপিটাল ব্যবসায় বেশি মনোযোগী বলে সর্বশেষ বাটারায় মাদানী হসপিটাল এন্ড ডায়গনেস্টিক নামে আরো একটি হাসপাতাল চালু করেন। তবে এর সাথে তার অন্য ২/৩টি ব্যবসাও সমান তালে চলছে। এগুলো হচ্ছে সিএনএফ এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজ লি.। এই ব্যবসার তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হাবিবা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে আরো একটি নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। এই ব্যবসার সত্বাধীকারী তিনি নিজেই। সাথে নিজস্ব হাউজিং ব্যবসাতো রয়েছেই।

রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিচিতি

আমরা এই প্রতিবেদনের শুরু থেকে অনেকবার বলেছি জনাব মোঃ মাঈন উদ্দিন একজন সমাজ ও রাজনীতি সচেতন মানুষ। মানুষকে ভালোবাসেন। নিজের সামর্থ অনুযায়ী পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। দাখিল পরীক্ষার আগেই তিনি ইসলামী ছাত্রসেনার রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়ান। তিনি বিশ্বাস করেন ইসলামী অনুশাসনে দেশ চললেই কেবল মানুষের মুক্তি, সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে জামাত শিবিরের ধরো, মারো ও জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির জন্য আজ ইসলামী রাজনীতির উপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন


১৯৮৯ সালে ছাত্রসেনার রাজনীতিতেতে নিজ ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এসময় তিনি দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রসেনার সভাপতির দায়িত্ব নেন। পরে লেখাপড়ার প্রয়োজনে চট্টগ্রাম চলে গেলে সেখানেও একই রাজনীতির সক্রিয় ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি চট্টগ্রাম শহর ছাত্রসেনার দায়িত্বও পালন করেন।
পরে ১৯৯৬ সালে আবার নিজ এলাকায় ফিরে আসলে জনাব মাঈন উদ্দিন ফেনী জেলা ছাত্রসেনার সেক্রেটারির দায়িত্ব নেন। জনাব মাঈন উদ্দিন রাজনৈতিক জীবনে সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় বার বার দিয়েছেন। ফলে দলে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিলো অনেকের ছেয়ে ভালো। এসময় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হন। ব্যবসার প্রয়োজনে ঢাকাতে ওঠে আসলে তিনি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এসময় তিনি ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানেও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও নীতি নির্ধারকদের একজন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে ফেনী-৩ আসনে প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়া তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত-এর কেন্দ্রীয় অর্থসচিব এবং জাতীয় আন্তর্জাতিক একাধিক সংগঠনের সাথে সরাসরি জড়িত আছেন।

সামাজিক কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন একজন পরপোকারী মানুষ। ছোটবেলা থেকেই মানুষের পাশে ছিলেন। ধর্মান্ধ স্বার্থপর মানুষদের সবসময়ই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন। জীবনের প্রতিটি মহুর্তে চেষ্টা করেন সমাজ ও মানব সেবা করার। মানুষ ও সমাজের উপকারে এগিয়ে এসেছেন সবসময়। ব্যবসা বাণিজ্য রাজনীতি যাহাই করেন সকল ক্ষেত্রে মানবসেবা করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
নিজ গ্রাম ও সমাজের করম উল্যাহ পুর বায়তুল গণি মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। করম উল্যাহ পুর সুন্নিয়া মাদ্রাসার সাবেক সহসভাপতি ও দাতা সদস্য। জৈনপুরী খানকা ও হাসানীয়া কারামতিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সহসভাপতি। এছাড়াও এলাকায় ঢাকাতে বহু সামাজিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও পরিচালনার সাথে সরাসরি জড়িত।


তিনি বর্তমানে ঢাকার ভিআইপি আবাসিক এলাকা বনশ্রীর স্থায়ী বাসিন্দা। বনশ্রীতে একাধিক বাড়ি রয়েছে তার। তিনি বনশ্রী কল্যাণ সমিতির সদস্য, বনশ্রী এলিট সোসাইটর সেক্রেটারী এবং ঢাকাস্থ ফেনী জেলা সমিতি, দাগনভূঞা উপজেলা সমিতি ও দাগনভূঞা ইয়ূথ সোসাইটির আজীবন সদস্য। বাংলাদেশ ইসলামিক স্কুল এন্ড কলেজ বনশ্রীর প্রতিষ্ঠাদের অন্যতম। এছাড়া আন্তজার্তিক সেবা সংস্থা মিনহাজ ওয়েরফেয়ার ফাউন্ডেশন-এর অর্থসচিব। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রতি বছর কোরবানে যারা কোরবান দিতে পারে তিনি একাধিক গরু কোরবানের নিয়তে জবাই করে বঞ্চিত মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন। জ্বলোচ্ছাস, বন্যাসহ
সকল প্রকৃতিক দূর্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যানারে সতীর্থদের সহযোগিতায় বা নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে আর্থিক সহযোগিতা বা ত্রাণ বিতরণ করেন। সকল দূর্বিপাকে আলহাজ্ব মাঈন উদ্দিনকে কোন না কোন ব্যানারে দূর্গত মানুষের পাশে দেখা যাবেই।

পারিবারিক জীবন

আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ব্যক্তিজীবনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিক অঙ্গনে সকল ক্ষেত্রে সফল একজন মানুষ। তেমনি পারিবারিক পরিমন্ডলেও একজন সফল স্বামী এ্বং পিতা। তিনি ১৯৯৭ সালে নিজ উপজেলায় মিসেস বিলকিছ আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ৬নং দাগনভূঞা ইউনিয়নের কাজী জুলফিকার হোসেন-এর ভগ্নিপতি তিনি। দুইজনই জীবনের শুরুর দিকে ব্যবসা বাণিজ্যে কাছাকাছি ছিলেন। জনাব মো. মাঈন উদ্দিন পারিবারিকভাবে একজন সুখী মানুষ। তিনি দুইটি কন্যা সন্তানের পিতা। বড় মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন। জামাই বাংলাদেশ টেলিভিশনে কর্মরত। ছোট মেয়ে বিশ্ববিদ্যারয়ের পড়ছে।

ইচ্ছা থাকলেই স্বপ্নকে ছোঁয়া যায়

জীবন নিয়ে সবারই স্বপ্ন থাকে। কারো স্বপ্ন থাকে পড়াশোনা করে সরকারি বড় চাকুরে হওয়ার। কারো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার। কারোবা পাইলট হয়ে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করার। আবার কারো স্বপ্ন থাকে কিছু উদ্ভাবন করে সমাজে আলাদা একটা সম্মানজনক পরিচয় তৈরি করার।
অন্যপাঁচটা সাধারণ যুবকের মতো জনাব মোঃ মাঈন উদ্দিন-এরও একটা স্বপ্ন ছিল। তিনি এমন কিছু করবেন, যেন আমৃত্যু মানুষের সেবা করা যাবে। সময়ের পালা-বদলে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, অদম্য চেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ তিনি তার স্বপ্নের দোর গোড়ায়।
জনাব মোঃ মাঈন উদ্দিন সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কিছু করতে পারলে নিজে তৃপ্তি পান। মনে হয় স্বপ্নকে ছুঁতে পেরেছেন। বলছিলাম স্বাস্থসেবা খাতের সফল ব্যবসায়ী জনাব মোঃ মাইন উদ্দিন-এর স্বপ্ন নিয়ে। ছাত্রজীবন থেকেই ব্যতিক্রম চিন্তা-ভাবনা করতে পছন্দ করতেন ফেনী জেলাস্থ দাগনভূঞার তরুণ জনাব মোঃ মাইন উদ্দিন। তখন থেকেই দেশ সমাজ ও মানুষের জন্য নতুন কিছু করার কথা ভাবতেন। যেটি দেশের মানুষের উপকারে আসবে।
মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে আবার কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা করে দেশের আগামী প্রজন্মকে আধুনিক ও ডিজিটাল বিষয়ে দক্ষ করতে মনোনিবেশ করেন। কম্পিউটার বিষয়ে অভিজ্ঞ আত্মপ্রত্যয়ী এই তরুণ এরপর কম্পিউটার বিজ্ঞানে আগামীর প্রজন্মের স্বপ্ন হয়ে ওঠেন। তারপর ভাবলেন নিজের মেধা-বুদ্ধি, দক্ষতা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। এলাকার ব্যবসা ধরে রেখেই ঢাকায় চলে আসেন।
তিনি বলেন, শূন্য থেকে যে-কোনো কিছু শুরু করতে গেলে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমার ছিল ব্যবসার ডেভেলপিংয়ের জ্ঞান ও দক্ষতা। কিন্তু প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তখন নিজে নিজে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি।
পরে একের পর এক ব্যবসা দিতে শুরু করি। ১টা ছাড়া সব ক্ষেত্রে আমি সফল ছিলাম। কাজের পরিসরের সাথে সমস্যাও বাড়তে থাকে। তারপরও দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে গেছি। এভাবেই স্বপ্ন এগিয়ে যেতে থাকে নিজস্ব গতিতে। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি আমার ক্লায়েন্টদের চাহিদা মতই কাজগুলি করেছি। সব সময় আমি আমার ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্টিই চেয়েছি। ফলে আমার উপর আমার ক্লায়েন্টরা সর্বদা সদয় ও খুশি ছিলেন। এখন স্বাস্থ্য সেবায় আমি আমাদের ফরাজী হাসপাতাল এবং মাদানী হাসপাতালের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সর্বাত্মক আন্তরিক সেবা প্রদান করে আসছি। বাকীটা আমার আল্লাহ দেখরেছন।
দেখেন, মানুষকে খুশি করতে পারলে আল্লাহও খুশি হন। সেবার মানসিকতায় কাজ করলে উন্নতি হবেই। এটার বড় প্রমাণতো আমি।
আমরা জানি যেখানে গুণীর কদর নেই, সেখানে গুণী জন্মাতে পারে না। তাই সমাজে তথা রাষ্ট্রে যেসব গুণী ব্যক্তি বাস করেন তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়া আমাদের নৈতিক কর্তব্য। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকান দেখবেন তারা গুণীদের সম্মান দিতে ভুল করে না। আমার দেখা মতে জনাব মাঈন উদ্দিন একজন পরোপকারী, দানশীল, ভালো মনের মানুষ। সামাজিক দায়িত্ব থেকেই এই গুনি ব্যক্তিকে সম্মানিত করাই আমাদের সামাজিক নৈতিক দায়িত্ব।
জনাব মাঈন উদ্দিন সাহেব আমাদের সময় ও সাক্ষাৎকার দেয়ার হন্য আপনাকে নোয়াখালী মেইল পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদেরকেও ধন্যবাদ। আপনাদের জন্য আবারো ফিরে দেখা হলো আমার পুরো অতিতকে। আমি আমার জীবন, পরিবার ও পরিচিত অঙ্গন নিয়ে খুশি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে সুন্দর জীবন দিয়েছেন। বাকী জীবনের নেক হায়াত আশা করি এবং ঈমানের সাথে মৃত্যু কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ।

আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, পিতা মোহাম্মদ আবদুর রব, মাতা আছিয়া খাতুন। জন্ম ১৯৭২ সালের ১ মার্চ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের কমর উল্যাহ পুর গ্রামে। সম্ভ্রান্ত সচ্ছল মুসলিম ধার্মিক পরিবারে জন্ম নেয়ার সুবাদে বেড়ে উঠেছেন ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে। পিতা শীপে চাকুরী করতেন। সে সময়ে জাহাজীওয়ালা পরিবারগুলো বেশ স্বচ্ছল ছিলো। পরিবারের মেঝো ছেলে হিসেবে বেশ আদরে ও আহ্লাদেই বেড়ে উঠেছেন। ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে নিজ গ্রামেই বরইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাগতিক লেখাপড়ার হাতেখড়ি নেন। পরে পরিবারের ইচ্ছায় দাগনভূঞা আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং ১৯৯১ সালে এই মাদ্রাসা থেকেই মাধ্যমিক স্তর অর্থাৎ দাখিল পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। পরে চট্টগ্রামে ওয়াজেদীয়া আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এখানেও সুনামের সাথে লেখাপড়া চালিয়ে কৃতিত্বের সাথে ১৯৯৪ সালে আলিম পাশ করেন। এরপর এই মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথম বিভাগে কামিল পাশ করেন।


মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি ও সমাজ সচেতন ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছূফীবাদের অনুসারী হিসেবে ইসলামী সুন্নাহ’র প্রকৃত অনুসারি ইসলামী ছাত্রসেনার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এসময় লেখাপড়ার পাশাপাশি আত্মসামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে থাকেন। কামিল পড়ার সময়ে রাজনৈতিক সামাজিক পরিচিতির গন্ডি ও অবয়ব বৃদ্ধিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। ১৯৯৪ সালে মোঃ মাইন উদ্দিন চট্টগ্রাম রিয়াজ উদ্দিন বাজারে আবদুল লতিফ মাকের্টে একজনকে সহযোগিতা করতে যেয়ে সু-স্টোর কিনেন। এসময় ব্যবসায় প্রয়োজনে লেখাপড়ার পাশাপশি ব্যবসায় সময় দিতে থাকেন। ব্যবসাও বেশ উন্নতি হচ্ছে। বছর তিনেক সু-স্টোরের ব্যবসা জমজমাটভাবে চালান। ব্যবসার এসময়ে কামিল পরীক্ষা দিয়ে ১৯৯৬ সালে মোঃ মাঈন উদ্দিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেন। এসময় কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রী নেন।
কম্পিউটারে ডিপ্লোমা ডিগ্রী নেয়ার পর ১৯৯৬ সালে মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন সিদ্ধান্ত নেন নিজ জেলা হেড সদরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে জাতীয় অগ্রগতির লেটেস্ট এই প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তেরি করবেন। কিন্তু ফেনীতে স্থান দূষ্পাপ্যতার কারণে পরে নিজ উপজেলা সদর দাগনভূঞাতে দাগনভূঞা কম্পিউটার সেন্টার নামে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা শুরু করেন। এসময় প্রবাসী অধ্যসিত এলাকা ফেনী নোয়াখালীর মানুষের চাহিদার কারনে আইএসডি ফোনের ব্যবসাও শুরু করেন সেবা টেলিকমের মাধ্যমে। পরে সেবা ও গ্রামীন ফোনের আইএসডি সীম ও এন্টিনা ব্যবসায়ও বেশ ভালো করেন। এসময় দাগনভূঞার ব্যবসা জমে উঠলে চট্টগ্রামের ব্যবসা সময় দিতে না পারায় সু-স্টোর বিক্রি করে দেন।
মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন দাগনভূঞায় স্থায়ী হওয়ার পর ব্যবসার পাশাপশি আবারো রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। এসময় তিনি ফেনী জেলা ছাত্রসেনার সেক্রেটারীর দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রসেনার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
দিনে দিনে দাগনভূঞা ও ফেনীর মাটির মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন-এর জন্য উর্বর হয়ে ওঠে। ব্যবসারও বেশ প্রসার হচ্ছে। এসময় আইএসডি ফোন ব্যবসা ও সীম বিক্রির সুবাদে প্রবাসী পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এইসব প্রবাসী পরিবারের অনুরাধে পাসপোর্ট ও বিমান টিকেট করে দিতে গিয়ে ধীরে ধীরে ম্যানপাওয়ার ব্যবসায় ঝুকে পড়েন। পরে ২০০০ সালের দিকে ঢাকায় এস এ ট্রাভেলস নামে ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসা শুরু করেন। এসময় মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকায় প্রচুর ম্যানপাওয়র রপ্তানী করেন। বলা যায় মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন-এর কারণে সেই সময়ে ফেনী নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বহু মানুষের ভাগ্য ফিরেছে।
এরপর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ২০০৩ সালে আফ্রিকা ও ২০১২ সালে ডুবাইতেও ব্যবসা শুরু করেন। ২০১১ সাল থেকে হাউজিং ব্যবসা শুরু করেন। বিডি ফিউচার প্রপ্রাটি ডেভেলপমেন্ট লি. নামে এই ব্যবসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। বর্তমানে তিনি মাদানী হোল্ডিং কোম্পানী চেয়ারম্যান। ২০১৯ সালে হাউজিং ব্যবসা ছাড়া আগের অনেক ব্যবসা গুটিয়ে স্বাস্থসেবা খাতের ব্যবসা শুরু করেন। স্বাস্থবন্ধুখ্যাত ডা. ইমন ফরাজীর ঢাকার বনশ্রীতে প্রতিষ্ঠিত ফরাজী হাসপাতালের অংশীদার হন। বর্তমানে তিনি ফরাজী হাসপাতাল লি. বনশ্রী ও ভাটারা শাখার পরিচালক এবং ফরাজী ডেন্টাল হাসপাতালের পরিচালক এবং ফরাজী ডায়গোনেস্টিক এন্ড হসপিটাল ভাটারার পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী। এছাড়াও তিনি ভাটারায় মাদানী হসপিটাল এন্ড ডায়গনেস্টিক নামে আরো একটি হাসপাতাল করেন এবং হাবিবা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল-এর সত্বাধীকারী।
মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন একজন ধর্মভীরু মানুষ। ইসলামী অনুশাসনে জীবন যাপনের চেষ্টা করেন। আমাদের অঞ্চলের ইসলামের প্রচার প্রসার ও ধর্মীয় অনুশাসন রক্ষা ও পালনে তাগিদ ও তালিম দেয়া জৈনপুরী আলেমদের প্রতি দরদ ও আন্তরিকাতা রাখেন। তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত এর কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব ও নীতি নির্ধারকদের একজন। ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ২০১১ থেকে বেশ কয়েকবার হজ্বব্রত পালন করেন এবং একাধিকবার ওমরা পালন করেছেন।
পরপোকারী মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জীবনের প্রতিটি মহুর্তে চেষ্টা করেন সমাজ ও মানব সেবা করার। মানুষ ও সমাজের উপকারে এগিয়ে এসেছেন সবসময়। তিান করম উল্যাহ পুর বায়তুল গণি মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। করম উল্যাহ পুর সুন্নিয়া মাদ্রাসার সাবেক সহসভাপতি ও দাতা সদস্য। জৈনপুরী খানকা ও হাসানীয়া কারামতিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সহসভাপতি। এছাড়াও বহু ধর্মীয় শিক্ষা ও সমাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও পরিচালনার সাথে সরাসরি জড়িত।
বর্তমানে তিনি ঢাকার ভিআইপি আবাসিক এলাকা বনশ্রীর স্থায়ী বাসিন্দা। বনশ্রীতে একাধিক বাড়ি রয়েছে তার। তিনি বনশ্রী কল্যাণ সমিতির সদস্য, বনশ্রী এলিট সোসাইটর সেক্রেটারী এবং ঢাকাস্থ ফেনী জেলা সমিতির সহসভাপতি, দাগনভূঞা উপজেলা সমিতি ও দাগনভূঞা ইয়ূথ সোসাইটির আজীবন সদস্য। বাংলাদেশ ইসলামিক স্কুল এন্ড কলেজ বনশ্রীর প্রতিষ্ঠাদের অন্যতম। এছাড়া আন্তজার্তিক সেবা সংস্থা মিনহাজ্ ওয়েরফেয়ার ফাউন্ডেশন-এর অর্থসচিব।
ব্যক্তিজীবনে জনাব মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ১৯৯৭ সালে নিজ উপজেলায় মিসেস বিলকিছ আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতি দুইটি কন্যা সন্তানের জনক।

সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে আগামীর প্রত্যাশা

প্রায় ৫০ বছরে এই জীবনে অবশেষে দীর্ঘ পথ চলায় অর্জনের ঝুলিতে যোগ হয়েছে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা। ভালো মন্দ খুঁজতে যায়নি, সবসময় ভালোকে আকড়ে ধরে মানুষের পাশে থাকতে ছেয়েছি।


হ্যাঁ আপনাকে বলছি, স্বপ্ন যখন দেখবেন আকাশছোঁয়া স্বপ্নই দেখেন। পুরোটা না হোক স্বপ্নের কাছাকাছিতো যেতে পারবেন। সেটাই কম কিসের। আর শুধুমাত্র চলার পদকে ভালোবাসা চাদর বানিয়ে নিন।
চিন্তা চেতনায় সরল-সহজ হোন জীবনটা সুন্দর হবে। জীবনে যা চাইবার সব কিছুই মহান আল্লাহ’র কাছে চান। যদি হাত পাততেই হয় অন্য কারো কাছে নয় একমাত্র আল্লাহ’র কাছেই অন্তত দিনে পাঁচবার হাত পাতুন। দেখবেন জীবন ও জীবনের চলার পথ অনেক সহজ হয়ে যাবে। জীবনে চলার পথে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের দেশের রাজনীতি সমাজ ব্যবস্থা মানুষকে প্রতিহিংসা পরায়ণ করে তুলেছে। ইসলাম মানরতার ধর্ম। আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনকে মেনে চললে রাষ্ট্র ও সমাজের অনেক সমস্যার সমাধান হতে বাধ্য। তাই আসুন নিজেদের আগামী প্রজন্মে কথা চিন্তা করে সমাজ রাষ্ট্রকে বাসযোগ্য করে তুলি। হিংসা বিবেদকে ভুলে পারস্পরিক সমপ্রীতি জোদার করি এবং অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকি। আমাদের সমাজে প্রবাদ আছে আপনি ভালোতো দুনিয়া ভালো। তাই আগে নিজেকে বদলায়, তবেই সমাজ বদলাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top