ইতিহাস ঐতিহ্যে ঘেরা শর্শদি দারুল উলূম মাদ্রাসা

118190580_2834593296769708_7058231683726933237_n.jpg

ইতিহাস ঐতিহ্যে ঘেরা শর্শদি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসাটি।এটি একটি কাওমী মাদ্রাসা। যা ফেনী সদর উপজেলার ১নং শর্শদি ইউনিয়নের শর্শদিতে অবস্থিত।

মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৩ সালে (হিজরী ১৩৬৪) মোতাবেক। এটি ফেনী জেলায় অবস্থিত অন্যান্য কাওমী মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম মাদ্রাসা হিসেবে সুপরিচিত। ইলমে দ্বীনের সংরক্ষণ ও তার ব্যাপক প্রচার প্রসারের মাধ্যমে, সমাজের সর্বস্তরে আহকামে খোদাওয়ান্দী ও সুন্নাতে নববী প্রতিষ্ঠা, নিয়মতান্ত্রিক তা’লীম তবিয়তের মাধ্যমে হক্কানী আলেম এবং দ্বীনের দায়ী তৈরী করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

হযরত মাও: শাহ সূফী নূর বখশ (রহঃ) ও হযরত মাও: নজীর আহমদ শহীদ (রহঃ) কর্তৃক ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া দারুল উলূম ৭৭ বছর সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এসেছে। মুসলিম উম্মাহ’র স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানটি এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

মাদ্রাসিটিকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে বহু মাদ্রাসা, মক্তব, মসজিদ ও ইসলামিক বই ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিবেচনায় এখানে রয়েছে প্রায় ৪’শ বছরের পুরনো মসজিদ বীর মুজাহিদ মোঃ আলী চৌধুরী জামে মসজিদ। কম-বেশি প্রতিদিনই এই দর্শনীয় মসজিদটি দেখতে আসা দর্শনার্থীদের দেখা মিলে। আপনারাও আসতে পারেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এই মসজিদটি দেখতে।

তাছাড়া এই মাদ্রাসার উদ্যোগে প্রতি বছর তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল স্থলে হাজার-হাজার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে কানায় কানায় ভরে উঠে। নবীর শিক্ষার আলোকে প্রতিটি মানুষকে ইনসানে কামেল রুপে গড়ে তোলার জন্য মাদ্রাসার সুদূর প্রসারী শিক্ষা প্রকল্পের অধীনে বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। এরমধ্যে আকর্ষণীয় নূরানী বিভাগ, কেরাত বিভাগ, হিফজ বিভাগ, পূর্ণাঙ্গ কিতাব বিভাগ, ফতওয়া বিভাগ ও দাওয়াত বিভাগ অন্যতম।

মাদ্রাসাটিতে প্রায় ৯০০ জন ছাত্রের জন্য শিক্ষক রয়েছে ৪৭ জন। সূদীর্ঘ ২৯ বছর মুহতামিম থাকার পর বার্ধক্যজনীত কারনে হযরত মাওঃ নূরুল ইসলাম এনায়েতপুরী (রহঃ) ইন্তেকাল করলে আলহাজ্ব হযরত মাওঃ আল হাফেজ রশীদ আহমদ (দাঃ) মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য: এর পূর্বেও তিঁনি ১০ বছর মুহতামিম হিসেবে মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাছাড়াও তিঁনি একসময় কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কুয়েতে থাকা অবস্থায় তিঁনি বাংলাদেশের মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণসহ বহু উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মোটা অংকের অনুদান নিয়ে দেশে আসতেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে পরিলক্ষিত কুয়েতি সংস্থার নির্মিত প্রায় ৩’শ মসজিদের স্বপ্নদ্রষ্টাই এই মুহতামিম।কুয়েতি সংস্থার বাংলাদেশের প্রধান হিসেবেও আলহাজ্ব হযরত মাওঃ আল হাফেজ রশীদ আহমদ (দাঃ) সকলের কাছে সুপরিচিত। সংগ্রহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top