কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের ভার্চুয়াল জমকালো আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, বিশ্বব্যাপি কোম্পানীগঞ্জবাসীরা একমঞ্চে কোম্পানীগঞ্জবাসীর স্মরণীয় ৩ ঘন্টা

FB_IMG_1602509126523.jpg

করোনায় কর্মহীন ১০০ পরিবারের হাতে তুলে দিলো ১০০ সেলাই মেশিন

মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক ।।

দেশ বিদেশে অবস্থানরত বিশ্বব্যাপী কোম্পানীগঞ্জবাসীর একটি স্মরণীয় মুহুর্ত কেটেছে গত ১১ অক্টোবর শরৎকালীন মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যায়। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার পূর্বে কানায় কানায় ভর্তি বসুরহাট পৌর হল। স্থানীয় কোম্পানীগঞ্জবাসীর সাথে ঢাকা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সামাজিক নেতৃত্ব এবং সাংবাদিকরাও উপস্থিতি ছিলো যেন কোম্পানীগঞ্জের ভিআইপিদের মিলনমেলা। কোম্পনীগঞ্জের সর্বোচ্ছ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, স্থানীয় জনপ্রতিনিধরা, সামাজিক সুশীল কারোই কমতি ছিলোনা।

বসুরহাট পৌর মেয়র জননন্দিত জননেতা কোম্পানীগঞ্জবাসীর আস্থা ও ভরসার একমাত্র আশ্রয়স্থল পৌর পিতা সফল পৌর প্রশাসক আবদুল কাদের মির্জার সরাসরি তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ও অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ছিলো কোম্পানীগঞ্জের বিগত সকল সময়ের ইতিহাসের সেরা অনুষ্ঠান। মেয়রের নিজস্ব অর্থায়নে প্রবাসীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেয়রের আন্তরিকতার প্রচন্ড চাপছিলো সকল আয়োজনে। ফুলে ফুলে ভরা রংবেরঙের বেলুনে সুসজ্জিত কালারপুল দৃষ্টিনন্দন ছিলো অনুষ্ঠান স্থল। পৌরহলে সরাসরি প্রচার ছাড়াও ৫টি বড়পর্দায় ভার্চূয়াল অনুষ্ঠানটি সম্প্রসার ছিলো যুগপযোগি আয়োজন। প্রায় দশ হাজার কোম্পানীগঞ্জবাসী দেশে সরাসরি এবং বিদেশে লক্ষাধিক প্রবাসী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছে।

সন্ধ্যার পর পরই হল ভর্তি হয়ে যায়, অনুষ্ঠান শুরুর আগে করোনার ভয়কে জয় করে মানুষের ছিলো উপছে পড়া ভিড়। অনুষ্ঠান স্থল নিয়ন্ত্রক সেচ্ছাসেবীরা বার বার প্রচার যন্ত্রে ঘোষণা দিচ্ছেন, যারা আমন্ত্রিত নয়, দয়া করে হলকক্ষ ত্যাগ করুন। হলে, হল চত্বরে, বটতলা, পৌর মার্কেট, জিরো পয়েন্ট লোকে লোকারণ্য। এ যেন উৎসব আমেজ।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দাওয়াত উপেক্ষা করেনি কেউই, তার উপর জনপ্রতিনিধিদের দাওয়াত, প্রবাসীদের দাওয়াত, সেলাই মেশিন গ্রহিতা এবং রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মী মেয়রের সকল বলয়ের শতভাগ উপস্থিত ছিলো।

ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন মুন্নার ডিজিটাল সার্পোটে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শিপাও মুক্তার প্রাণচঞ্চল উপস্থাপনায় মাধ্যমের নির্ধারিত সময়ের কিছক্ষন পরে ভার্চূয়ালে হাজির হন কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সভাপতি নবীন সংগঠক ও সমাজকর্মী ফখরুদ্দিন মাহমুদসহ ট্রাস্টি প্রধান মাইন উদ্দিন, উপদেষ্টা প্রধান আরজু হাজারী এবং কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের স্বপ্নদ্রষ্টা সাবেক ছাত্রনেতা শওকত হায়াত বিপ্লব।
কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী ইটালী প্রবাসী আবদুল কাইয়ূম মামুনের কাঁচা ও সরল উপস্থাপনায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
বসুরহাটের পৌর হলের মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকার আদলে লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি ও পাঞ্জাবী পরিহিত একদল কিশোর কিশোরীর কণ্ঠে বেজে উঠে জাতীয় সঙ্গীত। কোরান থেকে তেলোয়াতের পর উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহাবুদ্দিন।

কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করে অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তোলেন বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর, ঢাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক নাজমুল হক নাজিম। এছাড়াও মঞ্চে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সভাপতি আমেরিকার মেরীল্যান্ডের প্রবাসী ফখরুদ্দিন মাহমুদ স্বাগত বক্তব্য দিয়ে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান উপস্থাপনের জন্য কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী ইটালী প্রবাসী আবদুল কাইয়ূম মামুনকে দেন। এরপর মামুনের উপস্থাপনায় একে একে কার্যকরি কমিটির নেতারা, উপদেষ্টা পরিষদ নেতারা, ট্রাস্টি বোর্ড এবং ফাউন্ডার মেম্বাররা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন।

কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা, ট্রাস্টি ও ফাউনাডার বোর্ড কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের জনস্বার্থে গৃহীত সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারি করোনায় কর্মহীন হওয়া পরিবারের জন্য প্রথম প্রকল্প ‘সেলাই মেশিন বিতরণ ২০২০ প্রজেক্ট’ ১০০ হতদরিদ্র পরিবারের হাতে মেয়রের নেতৃত্বে ১০০ সেলাই মেশিন তুলে দেয়া হয়।

কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সংবাদকর্মীর দৃষ্টিতে পোস্টমটেম

উদ্বোধনী মঞ্চে অবাঞ্চিত লোক
কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালকরা মঞ্চে ডাকেন উদ্বোধক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহাবুদ্ধিন, প্রধান অতিথি পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীরকে। প্রধান অতিথি মঞ্চে উঠতে সাথে ডাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি, সেক্রেটারী, ওসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। কিন্তু এদের বাহিরে বেশ কিছু নিলজ্জ মানুষও মঞ্চে উঠে যান। যাদের মধ্যে চোরও ছিলো।

পূর্ব প্রস্তুতি এবং বিষয় ছাড়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির কিছু কর্মকর্তাদের বক্তব্য দর্শক শ্রোতাদের বিরক্তির কারণ ছিলো
ভার্চুয়াল মাধ্যম তথা ডিজিটাল সিস্টেম আমাদের সমাজে এখনও নতুন মাধ্যম। এই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখার পূর্ব প্রস্তুতি ও বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া জরুরি ছিলো নির্বাহী কমিটির নেতাদের। সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারীরা বক্তাদের আগে রিয়ার্সেল করে নিতে পারতেন। এছাড়া সাংবাদিক হিসেবে আমার মূল্যায়ন এসব কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানের গুরুত্বই বুঝেন নি। ফলে অনেক কর্মকর্তার বক্তব্য উপস্থিত শ্রোতাদের বিরক্তির কারণ ছিলো। তবে সভাপতি-সেক্রেটারী সিনিয়র সভাপতি বিপ্লব, মঞ্জুদের বক্তব্য গোছালো ছিলো।

কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে আরো স্বচ্চল, গ্রহনযোগ্য নেতৃত্ব নিয়ে আসা জরুরি
কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনকে নিউজের প্রয়োজনে আমি যতটুকু জেনেছি এটি একটি জনসেবামুলক সংগঠন। আত্ম উন্নয়ন তাদের লক্ষ নয়। যেমনি শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠন হয় আত্ম উন্নয়নের জন্য। সেখানে নেতৃত্বের যোগ্যতা প্রধান মাপকাটি। কিন্তু সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হয় সমাজ ও সামাজিক কাঠামোগত উন্নয়নে। এসব সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের শুধু নেতৃত্বের যোগ্যতা দিয়ে পদে নেয়ার কোন সুযোগ নেয়। তাই অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি এবং সামাজিক উন্নয়নের নিজের উপার্জিত অর্থ দান অনুদানের মানসিকতা সম্পূর্ন সমাজিক গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের। সে ক্ষেত্রে যিনি নিজের পারিপাশ্বিক সকল ব্যয়ের পরও মাসে পাঁচ/দশ হাজার টাকা সংগঠনকে দান করতে পারবেন এমন মানুষদের কমিটিতে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিতে হবে বেশি।

উপদেষ্টা, ট্রাস্টি ও ফাউন্ডার পরিষদ নির্বাচন ভালো হয়েছে, তবে
সভাপতিসহ কার্যকরি কমিটির অন্যাদের সাথে আলোচনায় যতদূর জেনেছি কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, ট্রাস্টি ও ফাউন্ডার পরিষদ নির্বাচন ভালো হয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু প্রবাসী এসব কমিটিতে আছেন যাদের নিজের কল্যাণই নেই তিনি কিভাবে সমাজের কল্যাণ করবেন। অর্থ কালেকশনের লিস্টে নাম নেই অথচ তিনি কার্যকরি কমিটি, উপদেষ্টা, ট্রাস্টি বোর্ডে জায়গা দখল করে বসে আছেন। এদের বিষয়ে ভাবা উচিত।

নিবেদিত প্রাণ যারা
কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের কার্যকরি কমিটি, উপদেষ্টা, ট্রাস্টি ও ফাউন্ডার পরিষদ নির্বাচন বেশ কিছু নবীন প্রবীন সমাজকর্মী সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখার মতো মানুষের সম্মিলন ঘটেছে। কার্যকরি কমিটির উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান আরজু হাজারী, নূুরুল হুদা হারুন, হেদায়েত উল্যাহ,আবদুল্যাহ সুমীর, মঞ্জুরুল ইসলাম কাউছার, মোশারেফ হোসেন দুলালসহ বেশকিছু নবীন সমাজসেবক।
এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যাদের উপর ভর করা যায় এমন কিছু প্রতিষ্ঠিত প্রবাসীকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ড। মুলত ট্রাস্টি বোর্ডের পরামর্শেই কার্যনির্বাহী কমিটি বাস্তবায়ন করবেন। তাদের মধ্যে অন্যতম আমেরিকার মেরিল্যান্ডের প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা ট্রাস্টি প্রধান মাইন উদ্দিন। আমেরিকাতে কোম্পানীগঞ্জ ও নোয়াখালী কমিউিনিটির গ্রহনযোগ্য মানুষ নিউইয়ার্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাওলানা মোঃ ইউছুফ জসীম, রেজাউল চৌধুরী রাজ্জাক, মেরীল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাজলসহ একঝাক সামাজিক গ্রহনযোগ্য মানুষ।
এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক যোগান ও পরামর্শ দিতে প্রবীন ও অভিজ্ঞ প্রবাসীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি ফাউন্ডার মেম্বার পরিষদ। ফাউন্ডার মেম্বার পরিষদে আছেন হক এন্ড সন্সের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলুল হক, আমেরিকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী সফি উল্যাহ, কোম্পনীগঞ্জ সমিতির সাবেক সেক্রেটারী ও ট্রাস্টি সদস্য মফিজুর রহমান, নোয়াখালী জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি ছেলামত উল্যাহ মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ সমিতির সাবেক নেতৃত্ব কমিউনিটির পরিচিত ব্যক্তিত্ব আলা উদ্দিন, আনিছল হক, রমেশ দেবনাথ, আবুল বাশার, কোম্পনীগঞ্জ সমিতির সাবেক সেক্রেটারী ও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, কোম্পনীগঞ্জ সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক ভিপি, কোম্পনীগঞ্জ সমিতির সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও ট্রাস্টি সদস্য আবু নাছের ও ডাঃ এ কে এম নজুরুল ইসলামসহ ১১ জন প্রবীন প্রবাসী।

পৌর এলাকায় আমেরিকা প্রবাসী কাজলের ১২ শতাংশ জমি দান
কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মেরীল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সামাজিক গ্রহনযোগ্য মানুষ মোহাম্মদ কাজল বসুরহাট পৌর এলাকার হাসপাতালের দক্ষিনে ১২ শতাংশ জমি দান করেছেন। যার জন্য কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশন ও কোম্পানীগঞ্জবাসী বসুরহাট খাজা বেকারীর উওরাধীকারী বিশিষ্ট সমাজসেবক আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ কাজলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ।

সংবাদ মাধ্যমে প্রচার পায়নি এমন মহতি অনুষ্ঠানটি
বিশাল আযোজনে ঝাকঝমকপূর্ণ এমন মহতি অনুষ্ঠানটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার পায়নি। যদিও স্থানীয় ও জেলার অনেক সংবাদকর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং অনুষ্ঠানে আসার নজরানাও পেয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে প্রবাসীদের ১০০ কর্মহীন পরিবারকে ১০০ সেলাই মেশিন বিতরণের মত এমন মহতি অনুষ্ঠানটি সংবাদকর্মী হিসেবে প্রকাশ ও প্রচার নৈতিক দায়িত্ব ছিলো সাংবাদকদের। অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েও সংবাদ প্রচারে উদ্যোগে না হওয়া দুঃখজনক ও প্রতারণার সামিল। তবে অর্থনৈতিক সুবিধা নেয়নি এমন অনেকেই সামাজিক মিডিয়ায় অনুষ্ঠানটির ছবি ও ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করেছেন।

ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য যারা
কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের এ মহতি আয়োজনকে ফুটিয়ে তুলতে যারা নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম কোম্পানীগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব  মুজিব কলেজের সাবেক এজিএস শহীদ উদ্দিন বাবুল, সাবেক ছাত্রনেতা পৌর কর্মকর্তা করিমুল হক সাথী, জামাল উদ্দিন মাসুদ, জোটন মজুমদারসহ পৌর কর্মকর্তা ও  কাউন্সিলর বৃন্দ।

মানবতার পাশে মানবিক মেয়র
বসুরহাট পৌর মেয়র একজন মানবিক মানুষ এটি এখন কোম্পানীগঞ্জের সর্বজন গ্রহনযোগ্য। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন সময়ে সকল ঝুকি নিয়ে কোম্পানীগঞ্জবাসীর পাশে ছিলেন বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। একটি মানবিক মহতি উদ্যোগকে সফল করতে অসুস্থ শরিরে কাজ করেছেন। কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের এ মহতি আয়োজনকে সফল করতে ও ১০০ পরিবারকে রুটি রুজিতে সহায়ক সেলাই মেশিন তুলে দিতে পেরে তিনিও আত্মতৃপ্ত এবং বলেছেন কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের এজাতীয় সকল মহতি আয়োজনে তিনি সবসময় উদার ও নিরলস হয়ে কাজ করবেন।

শেষ ভালো যার সবভালো তার
পরিশেষে বলতে হয় কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের আত্ম প্রকাশ হয়েছে বিশ্বকে মাতিয়ে। প্রথম প্রকল্পটিও ছিলো জনবান্ধব ও সময়পোযোগী। আগামীতে কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যখাতে বিশাল উদ্যোগ আছে। সে উদ্যোগেরও সফলতার দ্বার উম্মেচিত হোক তেমনটাই আশা করে কোম্পানীগঞ্জবাসী। জয় হোক মানবতার ও মানবিক মানুষদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top