বোস্টনে বাংলাদেশি দোকানকর্মিকে গুলির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

stephon-tanzim-01.jpg

প্রবাস ডেস্ক ।।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে ডাকতির সময় বাংলাদেশি দোকানকর্মির মাথায় গুলি চালানো সেই দুর্বৃত্তকে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বোস্টনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অব্যাহত আন্দোলনের মুখে তিন সপ্তাহ পর স্থানীয় সময় শুক্রবার বোস্টন পুলিশ স্টেফুন সামুয়্যেল (২৫) কে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত স্টেফুনের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে সশস্ত্র ডাকাতি ও খুনের অভিপ্রায় নিয়ে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোষ্টনের সন্নিকটে রক্সবুরির একটি মুদি দোকানে গত ১৪ জুলাই ডাকাতির সময় গুলিবিদ্ধ হন তরুণ বাংলাদেশি কর্মচারি তানজিম সিয়াম (২৩)। ওইদিন রাত ৯ টার দিকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশি মালিকানাধীন আবদুল মতিনের উক্ত মুদি দোকানে ঢুকে তানজিম সিয়ামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ও অর্থ হাতিয়ে নেয়। দোকান থেকে বেরিয়ে যাবার সময় তারা তানজিম সিয়ামের মাথায় গুলি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত সিয়ামকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

শিক্ষার্থী ভিসায় এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তানজিম সিয়াম। পড়াশোনা শুরুর আগে পরিবারকে সহায়তার উদ্দেশে চার মাস আগে বোস্টনের একটি দোকানে কাজ শুরু করেন তিনি। এম অ্যান্ড আর কনভেনিয়েন্স স্টোর নামে ওই দোকানে গত ১৪ জুলাই ডাকাতির সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তারপর থেকেই তিনি হাসপাতালে কোমায় রয়েছেন।

এদিকে ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত বাংলাদেশি কর্মচারি তানজিম সিয়ামকে দেখতে বাংলাদেশ থেকে ছুটে এসেছেন তার পরিবার। গত ৩ আগষ্ট সোমবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তানজিমের মা বাবাসহ দুই সহোদর। বোস্টনের সুবিধা দোকান মালিক সমিতি (বিসিএসওএ) এর প্রতিনিধিরা তাদেরকে বিমানবন্দর বোস্টনে নিয়ে যান। মাথার ভেতরে দু’টি গুলি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোমায় রয়েছেন তানজিম। বাংলাদেশি এ দোকানকর্মিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের মুলধারার রাজনীতিবিদরা তানজিম সিয়ামের পরিবারের জরুরি ভিসা প্রাপ্তির ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করায় তানজিমের মা বাবাসহ দুই সহোদর তাড়াতাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ পেয়েছেন। ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত ছেলেকে একনজর দেখার আকুতি জানিয়েছিলেন তার মা মনোয়ারা বেগম। এ কারনেই মুলধারার রাজনীতিবিদরা তাদের ভিসা প্রাপ্তির ব্যাপারের দ্রুত পদক্ষেপ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top