আমেরিকার ম্যারিল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কোম্পানীগঞ্জের কাজল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন

Kazal-biya-usa.jpg

মোহাম্মদ কাজল ও ফারহানা লিনা নব দম্পতির ছবি।

প্রবাসী ডেস্ক ।

আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কোম্পানীগঞ্জের খাজা মোহাম্মদ কাজল আবারো বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। অতি সম্প্রতি ম্যারিল্যান্ড বাল্টিমোর শহরে লাল-কিলা পার্টি হল সেন্টারে মোহাম্মদ কাজল ও ফারহানা লিনার জমকালো উৎসব মুখর বিবাহত্তোর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

মোহাম্মদ কাজল ও ফারহানা লিনার বিবাহত্তোর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানটি ছিলো আমেরিকা প্রবাসী কোম্পানীগঞ্জবাসীদের একটি মিলন মেলা। আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে অবস্থানকারী আমেরিকা প্রবাসী কোম্পানীগঞ্জবাসীদের পরিচিত প্রায় সকল মুখেরই সরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

আমেরিকা প্রবাসী কোম্পানীগঞ্জবাসীদের সামাজিক সংগঠন গুলোর বিবাদমান সকল গ্রুপের অংশ গ্রহণ ছিলো মোহাম্মদ কাজল ও ফারহানা লিনার বিবাহত্তোর সম্বর্ধনায়।

কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইনক্ এর দুইপক্ষের নেতৃত্ব শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাতে অংশগ্রহণ করে ম্যারিল্যান্ড বাল্টিমোর শহরে লাল-কিলা পার্টি হল সেন্টারে। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ, কোম্পানীগঞ্জ জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ফোরাম নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী ও বিএনপি পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলেন।
আমরা আশা করি দোয়া করছি আল্লাহ যেন এই দম্পতিকে কবুল করেন এবং সব সময়ের জন্য ভালোবাসা অটুট রাখেন।

আমেরিকার ম্যারিল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কোম্পানীগঞ্জের কৃতি সন্তান খাজা মোহাম্মদ কাজল এই বিয়ে নিয়ে তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেছেন…..

Dear Family and Friends,
Assalamu Alaikum.
With due respect, please accept our heartfelt gratitude to each and everyone of you for attending our wedding reception and showering us with all your love and care. We were surprised to see so much of participation from all of you. Thank you thank you sooo much for making our reception a successful one, Alhamdulillah
It was only possible because you all were so kind towards us. We appreciate it from the core of our hearts. I hope you all enjoyed our ceremony with your families and friends. If there was anything missing or anything that might have happened unexpected, please do consider it forgivable
Last but not the least, I would like to request everyone to keep both of us in your prayers please
Hope to connect with you all soon. Till then take care and stay safe everyone. May the Almighty keep us all blessed, Ameen.

জনাব খাজা  মোহাম্মদ কাজল-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
খাজা মোহাম্মদ কাজল, পিতা মরহুম খাজা সুলতান আহমেদ, মাতা আনোয়ারা বেগম। জন্ম ১৯৭২ সালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১নং সিরাজপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদনগর গ্রামে। লেখাপড়ার হাতেখড়ি মানিকপুর প্রাইমারি স্কুলে। তারপর বসুরহাট হাই স্কুল ও মুজিব কলেজ। ১৯৯২ সালে সরকারি মুজিব কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পিতার বসুরহাট বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাজা বেকারীতে অল্প কিছুদিন সময় দেন।

এরপর পারিবারিক ব্যবসার বাইরে যেয়ে বসুরহাটে নিজে রেডিমেট গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি পাড়ি জমান আমেরিকাতে। ১৯৯৮ সালে তিনি আমেরিকার মেরিল্যান্ড স্টেট এর বাল্টিমোর শহরে বিসমিল্লাহ বডি ওয়েল এন্ড ভ্যারাইটি স্টোর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে এর বেশ কয়েকটি শাখাসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত এক যুগ ধরে আমেরিকার মেরিল্যান্ড শহরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, শিল্পিসহ বিশিষ্টজনরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন। এ অনুষ্ঠানটি আমেরিকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

অতি সম্প্রতি ম্যারিল্যান্ড বাল্টিমোর শহরে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমানের নামে জিয়া ওয়ে নামকরনে কাজলের ভুমিকায় বিএনপির টপ লেভেলে কাজল বেশ পরিচিতি পান। এছাড়াও মোহাম্মদ কাজল বিএনপির বাল্টিমোর শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক।

ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হলেও তিনি এলাকায় শিক্ষা সম্প্রসারে রাখছেন অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন। নিজ অর্থায়নে ২০০৬ সাল থেকে বসুরহাট একাডেমীর পরিচালনায় পিতা-মাতার নামে আলহাজ্ব সুলতান আরা স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেন। বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্ব সুলতান আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই বৃত্তি পরিচালিত হয়ে থাকেন।

মোহাম্মদ কাজল প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯৯৯ সালে বায়তুল নাজাত জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বসুরহাটের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বসুরহাট একাডেমির পরিচালক ও বসুরহাট নার্সিং হোম এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বিগত দুই দশক ধরে তিনি অসহায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি ১ পুত্রসন্তানের জনক। পুত্রের নাম রাহান আহমেদ।

বিগত করোনা দূর্যোগকালীন সময়ে কোম্পানীগঞ্জের নিরিহ আমজনতার পাশে দাঁড়ান মোহাম্মদ কাজল। লক্ষ লক্ষ টাকার উপহার ও ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দেন তিনি। এছড়াও কোম্পানীগঞ্জের কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাদের কাছে মোহাম্মদ কাজল বিরাট আশির্বাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top