কোম্পানীগঞ্জে আবারও সরকার দলের ২৭০ জন পেলেন সেতুমন্ত্রীর উপহার ১৩ লাখ ৫০ টাকা

114138798_3383355711715717_8845151864370272503_n.jpg

মকছুদের রহমান মানিক।।

নোয়াখালীর লীডিং উপজেলা  কোম্পানীগঞ্জ সবসময় সরকার দলীয় আসন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় স্বাধীনের পর থেকেই সবসময় ক্ষমতাশীন দলের আসন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। ১৯৯১-১৯৯৬ সরকার ছাড়া সব সরকারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রতিনিধিত্ব ছিলো। স্বাধীনের পরে নোয়াখালীর নেতৃত্ব দিতেন আবদুল মালেক উকিল। ৭৫ পটপরিবর্তনে পরে সব সামরিক সযকারের সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। যিনি নিজেকে সরকার দলের লোক বলে ঘোষণা দিতেেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ মাইজদী শহর থেকে জেলার নেতৃত্ব কতৃত্ব নিয়ে আসেন কোম্পানীগঞ্জে। সেই সময় থেকেই  ডিসি এসপিরা দৌড়াতে থাকেন নোয়াখালীর লীডিং উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের দিকে।

১৯৯৬ সালের পর রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা আসার পর থেকেই কোম্পানীগঞ্জের নেতৃত্বে আসেন পোড়খাওয়া রাজনৈতিক কর্মী সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মাঠের নেতা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে থাকা ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিবার, নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধাদের সংসারে সুবাতাস বইতে থাকে।

সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে স্থানীয় জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন ওবায়দুল কাদের ও তার অনুজ স্থানীয় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ভ্রাতৃদয়। ওবায়দুল কাদেরের সৌভাগ্য নিজ নির্বাচনী আসনে স্থানীয় নেতৃত্বে আবদুল কাদের মির্জার মতো জনপ্রিয় নেতা পেয়েছেন।

আবদুল কাদের মির্জা কষোনা সময়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে সার্বক্ষনিক পুরো উপজেলার মানুষের পাশে ছিলেন। সরকারী সাহায্যের পাশাপাশি এলাকার প্রবাসী ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়েছেন। গত ছয়মাস টানা কর্মহীন মানুষদের পাশে ছিলেন। ত্রানের পাশাপাশি বিস্কুট, মৌসুমী ফল, নগদ অর্থ সাহায্য করেছেন। ঈদ-চাঁদে মন্ত্রীর উপহার পৌছে দিয়েছেন গণমানুষের দুয়ারে।

আমার ধারনা দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সেরা করোনা যোদ্ধা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এটা আমি নয় কোম্পানীগঞ্জের যে কেউ একবাক্যে স্বীকার করবেন। এমনকি আবদুল কাদের মির্জার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও এটা স্বীকার করেন।

১৮ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বসুরহাট পৌর অডিটোরিয়ামে নোয়াখালী জেলা আ’লীগের সহসভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা আ’লীগ ও দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। কোম্পানী গন্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের ২৭০জন নেতাকর্মীকে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এক কথায় করোনায় ভাগ্য খুললো কোম্পানীগঞ্জেষ সরকার দলের নেতা কর্মীদের ।

শুধু এবার নয় এর আগেও একাধিকবার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা ৫ হাজার করে অনুদান বা মন্ত্রীর ঈদ উপহার পেয়েছেন। দলীয় কর্মী ছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ অনেক পেশার লোকেরা মন্ত্রীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেয়েছেন।  এমনকি জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজের শিক্ষরাও ৫ লক্ষ টাকা  করে ২ বারে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছেন।

১৮ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বসুরহাট পৌর অডিটোরিয়ামে অনুদান বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভিন রুনু, বসুরহাট পৌরসভা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার, পৌর যুবলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ফরহাদ লিংকন প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top