সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো: প্রধানমন্ত্রী

al2023.jpg

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ মোকাবিলা করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এজন্য প্রয়োজন শুধ সাহস। অগ্নিসন্ত্রাস, পেট্রল বোমা হামলাসহ যেকোনো পরিস্থিতিই আসুক না কেন, দেশবাসীকে সাহসের সঙ্গে তা মোকাবিলা করতে হবে।

রোববার নরসিংদীতে নবনির্মিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধনের এক নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে কৃষকরা সারের জন্য আন্দোলন করেছিল। সার চাওয়ার কারণে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। তখনই কথা দিয়েছিলাম কৃষকদের সারের জন্য ছুটতে হবে না, সারই কৃষকের ঘরে পৌঁছে যাবে। আমরা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশে সারের কোনো ঘাটতি হতে দেইনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর গুলি চালিয়ে ২০ জনকে হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর সেখানে বেসরকারি খাতে একটি এবং সরকারিভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করে দিয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে সেই বিদ্যুৎকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়। এভাবেই তারা দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে। এখন আবারও সেই সময়ের মতো অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে তারা।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তখন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গ্যাস বিক্রির মুচলেখা দিয়েছিলেন। আর আমি তা না করে বলেছিলাম আমাদের কী পরিমাণ গ্যাসের রিজার্ভ আছে তা অ্যাসেসমেন্ট করে সিদ্ধান্ত নেবো। কেননা দেশের সম্পদ আগে দেশের মানুষের কাজে লাগাতে হবে। সেদিন সেই চক্রান্তে সায় দিলে আজ এই সার কারখানা করতে পারতাম না।

তিনি বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যেতে হবে আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হয়ে সেই দীনতায় ভুগি না। আমার জন্য ক্ষমতা বড় কিছু নয়, দেশের মানুষের কল্যাণই বড়।

বিএনপির মানসিক দীনতার আরেকটি উদাহারণ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৯৬ পরবর্তী আমরা জাতীয় সংসদে দেশকে বিএনপি’র রেখে যাওয়া খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করার ঘোষণা দেই। তখন খালেদা জিয়া ও তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন- খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়, তাহলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না।

ঋণ সহায়তা প্রদানের জন্য জাপান ও চীনের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়- আমাদের পররাষ্ট্রনীতির আরেকটি ফসল হচ্ছে এই সার কারখানা। আমাদের বন্ধু প্রতীম দেশ আমাদের সহযোগিতা করেছে। এটি অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর। যেখানে পরিবেশের কোনো দূষণ হবে না। পরিবেশ দূষণকারী কার্বন ডাই অক্সাইড কাজে লাগিয়ে ১০ শতাংশ বেশি ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হবে। এটি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার আমদানি হ্রাস করবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top