নোয়াখালী বিভাগ দাবি নিয়ে নোয়াখালীর জাতীয় নেতা ও সাংসদ সদস্যদের ভূমিকা!

Noakhali-bivag.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী ১ দিনের সুযোগ পেয়ে সরকারী সিদ্ধান্ত টপকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজের স্থান পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলেন। আমাদের নোয়াখালীর মরহুম মালেক উকিল সামান্য ক্ষমতা পেয়ে পুলিশ লাইন, বিমান বন্দর, নোয়াখালী হাসপাতালসহ অনেকগুলো কাজ করে দিলেন।

কিন্তু আমাদের ব্যারিস্টার মওদুদ এরশাদের সময়ে ৩ বছর একনেকের প্রধান থেকেও নোয়াখালীর জন্য কিছুই করেন নি? এটি নোয়াখালীবাসীর জন্য দুঃখের ও লজ্জার। ব্যারিস্টার মওদুদের মতো এমন ক্ষমতাধর রাজনৈতিক নেতা আর কোনো দিন নোয়াখালীর মানুষ আগামী একশ বছরেও পাবে না।

ব্যারিস্টারের পরে আমরা নোয়াখালীর মাটির সন্তান ওবায়দুল কাদের কে পেয়েছি দল ও ক্ষমতার শীর্ষে। কিন্তু ওবায়দুল কাদের ও নোয়াখালীবাসীকে এখনও হতাশই করছেন। তিনি এখনও নোয়াখালী বাসীকে এখনও কিছুই দিতে পারেন নি।

বৃহত্তর নোয়াখালীর হাজারো সম্ভবনা থাকা শর্তেও শুধু মাত্র নেতাদের আন্তরিকতার অভাবে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক জেলা নোয়াখালী অবহেলিত।

আমাদের অনেক সোভাগ্য হয়েছিলো। আমরা আবদুল মালেক ঊকিল, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ওবায়দুল কাদের-এর মতো জাতীয় নেতাদের ক্ষমতাসীন পেয়েছিলাম। মরহুম আবদুল মালেক ঊকিল বড় কোনো সুযোগ পান নি। ক্ষমতায় ছিলেন অল্প সময়। তারপরও যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন।

এরপর দেশের দুই সামরিক সরকারসহ লম্বা সময় ক্ষমতায় ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। যখন এলাকার উন্নয়ন করা খুব সহজ ছিলো। দরকার ছিলো আঞ্চলিক প্রেম ও আন্তরিকতার। কিন্তু সেই অঞ্চল প্রেম বা আঞ্চলিকতার বড়ই অভাব ছিলো ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে যখনই কোম্পানীগঞ্জ বা নোয়াখালীর উন্নয়নের কথা দাবি করা হতো তিনি উচু স্বরে বলতেন আমি কোম্পানীগঞ্জের মন্ত্রী নই। আমি সারা দেশের মন্ত্রী। তিনি কখনও বুঝতেই চাইতেন না কোম্পানীগঞ্জের মানুষ ভোট না দিলে তিনি মন্ত্রী হতেন না।

একই সুর কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে বড় হওয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওবায়দুল কাদেরেরও। নোয়াখালীর ৪০ লক্ষ মানুষ মনে করে ওবায়দুল কাদের আন্তরিক হলে আগামী এক সাপ্তাহে নোয়াখালীর মানুষের নোয়াখালী বিভাগ দাবি বাস্তবে রূপ পায়।

নোয়াখালী বিভাগ দাবি বাস্তবায়নে মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজন ছিলো সাংসদ সচিব পর্যায়ের একটি বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটি। যারা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বিভাগ দাবিটি নিয়ে যাবে।

কিন্তু বৃহত্তর নোয়াখালীতে ২০০০ সালের পরে যারা নোয়াখালীর বিভিন্ন আসনের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন ২/১ ছাড়া সবাই ৭০ ও ৮০ দশকে যারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাদের সমপর্যায়েররো নেই কেউ। এরা নিজের সম্পদ বাড়াতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে নয়। ইনাদের মুখে জনগণ থাকলেও অন্তরে অন্য শুর।

না হলে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক জেলা নোয়াখালীকে বিভাগ করতে কোনো সাংসদ সরকারী বড় ফোরামে দাবি করেন নি কেন?
সরকারী সিদ্ধান্তের পরও নোয়াখালী সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে না গত এক দশকেও। সকল সম্ভাবনা এবং যৌক্তিকতা থাকলেও নোয়াখালী বিমানবন্দর প্রকল্প পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না কেন?

এক্ষেত্রে মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নোয়াখালীর সংসদ সদস্যদের ভূমিকা কি ছিলো নোয়াখালীর মানুষের কাছে পরিস্কার নয। জেলার একজন সংসদ সদস্য হয়ে জেলার বিভাগ দাবি, বিমানবন্দর, ইপিজেড, ইকোনোমিক জোন, সমুদ্র বন্দর, নিয়ে পার্লামেন্টে আপনাদের ভূমিকা কি ছিলো?

জেলাবাসী এরকম অসংখ্য দাবি নিয়ে বার বার সোচ্চার হলেও আপনারা বরাবরের মতো নীরব থেকেছেন কেন? আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ৫০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হয় না। এই নিয়ে আপনাদের সরব বাক্য কখনো আমরা দেখিনি।

জেলাবাসী আশা করে, আপনারা এখনই নোয়াখালীবাসীর উল্লিখিত দাবি সমূহের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সংসদসহ সরকারী উচ্চ পর্যায়ে এবং  সরকারের প্রশাসনে  দাবী জানাবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। আমরা আপনাদের ব্যর্থতা নয় সফলতা দেখতে চাই।

মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়গণ আপনারা জনগণের দাবির প্রতি কতটুকু সম্মান দেখাচ্ছেন তা নোয়াখালীবাসী দেখতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top