বিশেষ প্রতিনিধি ।।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের উপকূলীয় অন্তত ১৫ জেলায় এক থেকে দুই ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ভরা পূর্ণিমার সঙ্গে বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে উপকূলভাগের নিম্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল সর্বশেষ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, পূর্ণিমা ও বায়ু চাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ চলছে। এ কারণে রাজধানী ঢাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে।
গতকাল সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি ভারতের উপকূলীয় ওড়িষা ও এর কাছাকাছি উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য পশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে যেতে পারে তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এই পরিস্থিতি আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।