ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি আক্রান্ত রোগী, করোনা পরীক্ষায় অনীহা

011.jpg

মেইল ডেস্ক ।।

গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর-সর্দি ও কাশির রোগী। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। এতে অনেকেই সুস্থ হয়েও উঠছেন। কেউ কেউ হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করেতে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে।

মফঃস্বল শহর ও নগরীর প্রায় প্রতিটি বাসা-বাড়িতেই রয়েছে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত রোগী। একই চিত্র গ্রামেও। তবে, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না।  কোরবানির ঈদের পর ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীই জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। সিট না পেয়ে অনেকে মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরা  অনেকেই জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। জ্বর, সর্দির সাথে গলাব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন।

উপজেলা হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, এ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালেও ঈদুল আজহার পর রোগী বেড়েছে। তবে সামান্য সর্দি, কাশি, জ্বরের রোগী আমাদের কাছে আসছে না।

প্রচণ্ড দাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নোয়াখালীসহ সারা দেশের সাধারণ খেটে গাওয়া মানুষের জনজীবন। ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৫-৪০ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের বেশির ভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এটি সিজেনাল ফ্লু। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের শরীরের তাপমাত্রা ১০২-১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করে। অতিরিক্ত গরমের কারণে এ সময়ে জ্বরের রোগী একটু বাড়বে। জ্বর হলেই করোনা হয়েছে, তা নয়। তবে করোনার উপসর্গগুলোও একই। হাসপাতালে ওষুধের সংকট নেই। ডাক্তার ও জনবলের সংকট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top