করোনা সাময়িক, আবার আমরা ঘুরে দাঁড়াব: প্রধানমন্ত্রী

pm.jpg

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

করোনাভাইরাস দেশের অগ্রযাত্রা সাময়িকভাবে থামিয়ে দিলেও তা সামলে দ্রুত সামনে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি জনগণ এর থেকে বেরোতে পারবে। আবার আমরা এগিয়ে যাবো। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশের না, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে আমি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলা শিখেছি। তার পাথেয় ‘সৎ পথে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করো’ ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আসুন সবাই মিলে এ বিরূপ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কাজ করি, জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করি। ইনশাল্লাহ, এই বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।’

বৃহস্পতিবার গণভবনে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২০ এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবাইকে আহ্বান করব, যে যেখানে আছেন আপনার যতটুকু জায়গা আছে একটা গাছ লাগান। অথবা যারা শহরে থাকেন ছাদে বা বারান্দায় একটা টবে গাছ লাগান। যেভাবেই হোক একটু গাছ লাগালে ভালো লাগবে। মনটাও ভালো লাগবে। আর কিছুটা আপনার নিজের সচ্ছলতা আসবে আর নিজের হাতে লাগানো একটা গাছের একটা কাঁচামরিচ খেলেও কিন্তু ভালো লাগে। কাজেই সেইভাবে আমি আহ্বান করব- আসুন আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই। আমাদের দেশটা একটা বদ্বীপ, এই দেশটাকে আমরা রক্ষা করি এবং দেশটাকে উন্নত করি।

ওয়ান ইলাভেনের সময় গ্রেফতার স্মৃতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের দিনটা একটা বিশেষ দিন। কারণ ২০০৭ সালে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে গ্রেফতার করেছিল। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের দেশের জনগণের প্রতি, প্রবাসীদের প্রতি এবং বিশ্ব নেতাদের প্রতি।

তিনি বলেন, প্রতিটি মামলায় আমি বলেছি যে তদন্ত করে দেখতে হবে আমার দুর্নীতি আছে কিনা। ঠিক সেভাবে করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমি সব কিছু থেকে খালাস পেয়েছি। জনগণের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা যে তাদের সমর্থনে আমি মুক্তি পেয়েছিলাম।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের সংগঠন, বিশেষ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ আমাদের সব সংগঠন, সহযোগী সংগঠনের প্রতি। তারা প্রতিবাদ করেছিলেনঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ সিগনেচার সংগ্রহ করে সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দিয়েছিলেন। তাদের এই সংগ্রহে আমি জোর পেয়েছিলাম মনে এবং আন্তর্জাতিক চাপে আমাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। যদিও আমার বিরুদ্ধে বিএনপির আমলে ১২টা মামলা দেওয়া হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আরও পাঁচটা মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমি লাগিয়েছি একটা চালতা গাছ, তেঁতুল গাছ আর একটা ছাতিয়ান গাছ। ছাতিয়ান গাছ খুব বড় হয়। এর কাণ্ড খুব মোটা হয় এবং কাঠ হিসেবে খুব ভালো। সে জন্য ওটা লাগানো হয়েছে। আর তেঁতুলের শক্তি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা যেমন কারও যদি প্রেসার থাকে সে প্রেসারের জন্য ভালো। তাছাড়া এমনিতে শরীর ঠান্ডা রাখা। তেঁতুল অনেক কাজে লাগে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে তেঁতুলের জাতটা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে এটার চাহিদা আছে। আর ফুচকা-চটপটি তো সবার খেতে ভালো লাগে। সে জন্য তেঁতুল সবসময় দরকার। সে জন্য আমি তেঁতুল গাছের ওপর একটু জোর দিয়েছি। আর চালতাটাও। চালতার পাতাগুলো যেমন সুন্দর দেখতে ফুল আরও সুন্দর। চালতার আবার অনেকগুণ রয়েছে। ডালে চালতা দিয়ে খেতে তো এমনি মজা লাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top