চঞ্চল চৌধুরী পরিবারে করোনা সংক্রমণ, ভেঙে পড়েছিলেন চঞ্চল

Chancal.jpg

চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।

বিনোদন ডেস্ক ।।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল শুটিং। তিন মাস পর আবারও শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় চার মাস পর শুটিংয়ে ফেরেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ঈদুল আজহা উপলক্ষে নতুন নাটকের কাজ শুরু হয়ে গেছে তত দিনে। তবু ফিরতে কেন দেরি করছিলেন তিনি? অন্যদের তুলনায় একটু বেশি ছুটি কাটানোর কারণ জানা গেল সম্প্রতি।
লকডাউনের পর সবাই যখন শুটিং শুরু করলেন, চঞ্চল তখন ঘরে। অনুরোধের ফোন কল ধরতে ধরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন এই অভিনেতা। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন, এই অভিনেতা করোনার আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বের হতে চাইছেন না। অথচ তখন করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে পরিবারে। পর্যুদস্ত চঞ্চল ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁদের পরিবারের সাত সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সারা দেশে তখন সংক্রমণ বেড়েও গিয়েছিল। এ কারণেই সবাই ফিরলেও শুটিংয়ে ফিরতে চাইছিলেন না তিনি। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শুটিং শুরু করার কথা জানিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘নসু আসল ভিলেন’ নামের ওই নাটকে তাঁর সহশিল্পী অপর্ণা ঘোষ।

জীবিকার তাগিদেই কাজে ফিরেছেন চঞ্চল চৌধুরী। ঘরে বসে থাকতে থাকতে একঘেয়েমিও তৈরি হয়েছিল। কাজের বাইরে মানসিকভাবে স্বস্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। দীর্ঘদিন পর ঘরের বাইরে বেরিয়ে বেশ প্রশান্তি অনুভব করছেন এখন। যদিও সব রকম নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে, তবু করোনা নিয়ে কিছুটা ভয় ছিল তাঁর। শুটিংয়ে একটু দেরিতে ফেরা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, আমার আত্মীয়স্বজন, বোন-দুলাভাই, ভাগনে-ভাগনিসহ সাতজন আক্রান্ত হয়েছিল। তারা সবাই এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত হয়। ওই সময়টা খুব ভেঙে পড়েছিলাম। সবার জন্য চিন্তা হচ্ছিল, কি–না–কি হয়…। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। সবাই এখন ভালো আছে। এ কারণেই গত ঈদে কোনো কাজ করিনি। প্রায় চার মাস ঘরে ছিলাম।’

শুটিংয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘শুটিং ইউনিট নিরাপদ কি না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা হবে কি না, সেসব আগেই জেনে-বুঝে নিয়েছি, তারপর শিডিউল দিয়েছি। যেখানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না, আড্ডা দিচ্ছে আগের মতো, সেখানে কাজ করে লাভ নেই। দেখা যাবে, করোনা নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। এ জন্য পরিচিত শুটিং ইউনিট দেখেই কাজ শুরু করেছি, যারা নিজেরাও সচেতন থাকবে এবং আমাকেও নিরাপত্তা দিতে পারবে।’

আগের মতো একটানা কাজ করছেন না চঞ্চল। ঈদের কারণে কাজের চাপ বাড়লেও চরিত্রের প্রয়োজনে বিরতি দিয়ে কাজ করছেন। অনেক নির্মাতার অনুরোধ থাকার পরও এবারের ঈদে মাত্র পাঁচটি ধারাবাহিক ও একটি একক নাটকে দেখা যাবে তাঁকে। সেগুলোর নির্মাতা হানিফ সংকেত, মাসুদ সেজান, শামীম জামান, সাগর জাহান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top