নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জমা হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যেখানে মোট ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছেন।
কোন দলের কত প্রার্থী
নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী-দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৩০০ আসনের বিপরীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) ৩০৩ জন, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) ৩০৪ জন, জাকের পার্টি (গোলাপফুল) ২১৮ জন, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) ১৫১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি (আম) ১৪২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) ১১৬ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১ জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা) ৪৭ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৩ জন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮ জন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩ জন, গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫ জন, গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) ৯ জন, ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) ৪৫ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০ জন, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ (গামছা) ৩৪ জন, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা) ১৪ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা) ৮২ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম (নোঙর) ৪৯ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট- বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিযোট (ছড়ি) ৭৪ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত পাঞ্জা) ৫ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (কুঁড়েঘর) ৬ জন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মই) একজন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিক্সা) একজন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুর গাছ) একজন এবংবাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এদিকে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় থাকবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এরপর প্রার্থীরা নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।