যেসব অভিযোগে হেফাজতের মামুনুল হক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন

mamunul-haq.jpg

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর কারাগারে থেকে মুক্তি পান তিনি। তিন বছর আগে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গ্রেপ্তার হওয়ার ১৫ দিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেছিল স্থানীয়রা। তখন মামুনুল হক দাবি করেছিলেন ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। যদিও পরে জানা যায় যে ওই নারী তার স্ত্রী নয়।

২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় দেশে ২০ জনের মৃত্যুর হয়। এসব ঘটনার মামুনুল হককে মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মামুনুল হকসহ হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু নেতা জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নিতেন। শুধু মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা নয়, যাত্রাবাড়ী, বারিধারা, লালবাগের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে তারা অর্থ নিতেন। এসব মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে মাদ্রাসার নামে যেসব অনুদান এসেছে, সেগুলোর তারা ভাগবাটোয়ারা করে নিতে না।

তাকে (মামুনুল হক) গ্রেপ্তারের পর ওই সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মামুনুল হক ২০১৩ সালের সহিংসতা এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায়ও নিজে সম্পৃক্ত ও উসকানি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছিলেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই তাণ্ডবের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নেপথ্যে ছিলেন মামুনুল হক।

উল্লেখ্য, নানা অভিযোগে অভিযুক্ত মামুনুল হককে ২০২৩ সালের হেফাজতের কমিটিতে কোনও পদ দেওয়া হয়নি। তবে, হেফাজতের পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠকে মামুনুল হকসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দাবি জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top