নোয়াখালী ৫ আসনের নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় জাসদ প্রার্থী

01-scaled.jpg

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

নোয়াখালীর ভিআইপি আসনখ্যাত নোয়াখালী ৫ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

নিজের ব্যাপক পরিচিতি সাংগঠনিক দক্ষতায় নির্বাচনী মাঠে সাড়া পেলেছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক। কোম্পানীগঞ্জের এই সাবেক ছাত্রনেতা পরে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন । এবার নির্বাচনী মাঠেও নিজেকে তুলে ধরেছেন মশালের আলোতে

নিজের পেশা সাংবাদিকতার পাশাপাশি জীবনের প্রতিটি বাঁকে মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক রাজনীতি ও সামাজিকতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই আজকে দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে গণমানুষের সামনে হাজির হয়েছেন। খুব ভালো সাড়া মিলছে বলে জানান তিনি। আমাদের এই প্রতিকবদকের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক জানান, নোয়াখালী ৫ তথা কোম্পানীগঞ্জ কবিরহাটের জনগণ একটা পরিবর্তনের প্রহর গুনছেন। এই এলাকার মানুষ সময় সুযোগ পেলে ভোট বিপ্লব করে পরিবর্তনের জোয়ার তুলতে চাই।

তিনি আরো বলেন, মানুষ পরিবর্তনের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। সুযোগ খুঁজছে সময়ের। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে গণমানুষের কাছে আমার প্রথম যাওয়া। গণমানুষের কাছে আমার এইভাবে যাওয়া না হলে আমার অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত।
আমরা যারা সমাজের উপরের স্তরে বসে আমজনতা নিয়ে নয়ছয় ভাবি, তারা আসলেই বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে বাস করছি।

আমজনতা বা গণমানুষের চাওয়া খুব বেশি নয়। তারা চায় সুন্দর ও নিরাপদ জীবন। স্বল্প খরচে পরিবারের বরণ পোষন নির্বাহ করতে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বন্টন এবং তাদের মতামতের প্রতিফলন। সাধারণ মানুষের ধারণা রাজনীতিবিদরা হবে সমাজের দর্পণ। তাদের সততা ন্যায় নিষ্ঠা হবে অনুকরনীয় আদর্শ। কিন্তু এখন রাজনীতি করে সমাজের অসৎ লোকের। যাদের মন থেকেই ঘৃণা করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। এমনকি রাজনীতিবিদরাই তাদের স্বগোত্রীয়দের চোর চেচ্ছর বলে গালি দেয়।

ভোট হচ্ছে জনগণের সাথে সমাজের নেতৃত্বের একটা যোগসূত্র তৈরি করে। নেতাদের সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকারে বিশ্বাস রেখে নূন্যতম প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতার যোগবিয়োগ। জনগণ ভোটের বাজারে নেতাদের যতটা বিশ্বাস করছে, নেতারা ততোটাই বেইমানি করেছে। জনগণ যখন দেখে বাড়ির পাশের ফকিরের ছেলেটা নেতার পিছে হেঁটে শুক্কুরে শুক্কুরে আট দিনেই লাখপতি। ছয়মাসেই সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে । তখন রাজনীতি ও নেতাদের মুখে জুতা মারতেই ইচ্ছে করে আমজনতার। আবার জনগণও সৎমানুষকে আস্থায় নিতে পারেন না। ফলে ভোগেন বছরের পর বছর।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার নগদ লাভ নাকি আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য স্বদেশ চান। আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মশাল মার্কায় ভোট দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top